আরবের দাদাগিরি শেষ, ভারত আনছে পেট্রোল ডিজেলের বিকল্প, তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে বিশ্ব

কয়েকমাস ধরেই ভারতে ডিজেল ট্রেনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen train) চালানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। আর সেই নিয়ে কাজ চলছে বেশ জোর কদমে। সব কিছু ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে চলবে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন। জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সরকারের উদ্যোগে গত সপ্তাহে ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কিন্তু এবার খবর এসেছে হাইড্রোজেন ফুয়েল (Hydrogen fuel) নিয়ে। ভারতীয় রেল (Indian Railways) কর্তারা সিমেন্স, কামিন্স, হিতাচির মতো সংস্থার সাথে এই নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কিন্তু হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen train) চালানোর জন্য সেই হাইড্রোজেন তৈরী করতে হবে দেশের মধ্যেই। বাইরে থেকে হাইড্রোজেন আমদানি করে চালানো সম্ভব নয়। আর আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এগিয়ে চলা ভারতকে এক বড় উপহার দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ।

এই এসএফসি এনার্জি সংস্থাটি হাইড্রোজেন ও মেথানল ফুয়েল সেল উৎপাদন ও বিক্রি করে। খুব শীঘ্রই তারা ভারতে এই সবুজ জ্বালানি উৎপাদন করবে। গুরুগ্রামে কারখানা স্থাপন করতে পারে এই সংস্থাটি। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্র সরকার গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যেই ৪৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।

শুধু তাই না, এক ভারতীয় সংস্থাও দেশের অন্দরে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল তৈরির কাজ চালাচ্ছে। সেই কোম্পানির নাম H2 Power। যদিও তাদের উৎপাদন ক্ষমতা খুবই সীমিত। মিথানল এবং হাইড্রোজেন উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে পারলে আগামী সময়ে আরব বিশ্বের দাদাগিরির যোগ্য জবাব দিতে পারবে ভারত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি G20 এর মিটিংয়ের জন্য ভারতে এসেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। আর তখনই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠকে বসেন জার্মান চ্যান্সেলর। সেখানে চুক্তি হয় গ্রিন এনার্জি নিয়ে। জানা গিয়েছে তারা খুব শীঘ্রই ভারতে এই গ্রীন এনার্জি তৈরি শুরু করে দেবে।