Nuclear Plant in Moon: চীনের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক যে খুব একটা ভালো নয় তা সকলেই জানে। এমনকি সীমান্তবর্তী এলাকাতেও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই বৃদ্ধি পায়। তবে সম্প্রতি সূত্র মারফরত জানা যাচ্ছে যে ,চীনের সঙ্গে ভারত এক নয়া অভিযানে সামিল হয়েছে এবং দুই দেশের সঙ্গী হতে চলেছে রাশিয়াও। কেন জোট বাঁধলো এই তিনটি দেশ?
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে পৃথিবীর বুকে ভারত আর চীনের সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। তবে চাঁদের মাটিতে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন (Nuclear Plant in Moon) করতে চলেছে এই দুটি দেশ। তাদের এই অভিযানে দুই দেশের বন্ধু দেশ রাশিয়াও যোগদান করেছে। গোটা অভিযানের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা টাসের মাধ্যমে।
এই যৌথ প্রকল্পের কথা প্রকাশ্যে এনেছে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন সংস্থার প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাচেভ। একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, চাঁদের মাটিতে ছোট ছোট করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন (Nuclear Plant in Moon) কেন্দ্র তৈরি করতে চায় রাশিয়া। সেখান থেকে অন্তত হাফ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি হতে পারে। সেই বিদ্যুৎ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। সম্পূর্ণ প্রকল্পটি চলবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে, এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া।
আরো পড়ুন: রমরমিয়ে চলছে ভেজাল পেট্রোলের ব্যবসা, ব্যবহারের আগে স্বচ্ছতা যাচাই করুন এই উপায়ে
তিনি আরো জানিয়েছেন যে, চাঁদের মাটিতে রাশিয়ার এই অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন দুটি দেশের কথা তা হলো চীন এবং ভারত। রাশিয়ার এই প্রকল্পে দুই দেশ অংশ নিতে খুবই উৎসাহী বলে দাবি লিখাচেভের। ভারতের ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা রয়েছে ২০৪০ সালের মধ্যে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর। চাঁদের মাটিতে স্পেস সেন্টারও স্থাপন করা হতে পারে ভারতের তরফে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা পরিকল্পনা করেই হয়তো চীন এবং রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলাতে পারে ভারত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে প্রধান প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনো নিয়ে প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দুর্গম প্রান্তে নামার জন্য একই সময়ে অভিযান শুরু করে। রুশ চন্দ্রযান অবশ্য গতবছর সফলতা লাভ করতে পারেনি, ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে আবার নজির সৃষ্টি করেছে ভারতের চন্দ্রযান, সফট ল্যান্ডিং করে ইতিহাস গড়েছে ভারতের চন্দ্রযান। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা ভুলে দুই দেশ হাত মিলিয়ে চাঁদের মাটিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Nuclear Plant in Moon) গড়ার দিকে এগোচ্ছে।