নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের পর বছর ধরে ভারত ও চীন প্রতিবেশী দেশ হয়ে থাকলেও দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের (India China Conflict) শেষ নেই। বিভিন্ন সময় চিন তার আগ্রাসন নীতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশ নিজের বলে দাবি করে থাকে। শুধু ভারত নয়, চীনকে বরাবর তার প্রতিবেশী দেশগুলির উপর এমন হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়। তবে চীনের এমন আগ্রাসন নীতি বারবার হোঁচট খেয়েছে ভারতের কাছে।
ভারত ও চীনের মধ্যে যে ঠান্ডা লড়াই বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে, সেই ঠান্ডার লড়াইয়ে চীনকে যেমন মাঝে মাঝেই ভারতের বিভিন্ন অংশকে নিজেদের বলে দাবি করতে দেখা যায়, ঠিক সেই রকমই আবার ভারতের বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের পছন্দমত নামকরণ করতে দেখা গিয়েছে চীনকে। তবে তৃতীয়বার সরকারে বসে চীনের এমন সব পরিকল্পনার পাল্টা দিতে উঠে পড়ে লাগল ভারত।
কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকার স্থাপন হতে ফের একবার বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন এস জয়শঙ্কর। দায়িত্ব পেয়েই প্রথম দিনেই তিনি যখন অফিসে যান তখন তার মূল আলোচনা হয়ে দাঁড়ায় ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে। এরপরেই শোনা যায় চীনকে সবক শেখানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নয়া দিল্লি। চীনকে সবক শেখাতে নয়া দিল্লির যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তা মূলত তিব্বতকে হাতিয়ার করে।
আরও পড়ুন ? Yuntai Waterfall: বোকা বানানোর মাস্টার চীন! পাইপ দিয়ে জল ঢেলে বলছে জলপ্রপাত!
গত এপ্রিল মাসে ভারতের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও চীন একপ্রকার নিজেরদের গাজোয়ারি দেখিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ৩০ টি নাম বদলে দিয়েছিল। চীনের তরফ থেকে নাম বদলানোর সেই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়। আর এবার অরুণাচল প্রদেশের সেই ঘটনার জবাব দিতে ভারত তিব্বতকে হাতিয়ার করলো এবং তিব্বতের ৩০টি জায়গার নাম পরিবর্তন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এলএসি বরাবর নতুন করে মানচিত্র প্রকাশ করা হবে এবং সেই মানচিত্রে ভারতের যাওয়া তিব্বতের ৩০ টি জায়গার নাম উল্লেখ করা হবে।
এর আগে অরুণাচল প্রদেশের তরফ থেকে যে ৩০ টি এলাকার নাম চীনের তরফ থেকে বদল করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল একটি করে উপত্যকা, হ্রদ, গিরিপথ, ৪ টি নদী, ১২ টি পাহাড় এবং ১১ টি বাসযোগ্য এলাকা। এরই পাল্টা হিসাবে ভারত এবার তিব্বতের সেই সকল জায়গার ৩০ টি এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চলেছে যা চীনের অধিকৃত।