Asia Power Index: বর্তমানে এশিয়ার তৃতীয় শক্তিশালী দেশ হলো ভারত, পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া এবং জাপানকে। অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বার্ষিক এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স অনুসারে, ভারতের সামনে সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হল আমেরিকা এবং চীন। একটি সমীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়েছে যে জাপানের অর্থনৈতিক পতনের জন্যই সেই দেশের শক্তি ক্ষয় হয়েছে। বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একটি শক্তিশালী দেশ হলো।
অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের কারণে এশিয়ার সবথেকে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী দেশগুলির তালিকায় একেবারে চতুর্থ নম্বরে নেমে এসেছে টোকিও। সম্পদ এবং প্রভাবের পরিমাপ অনুযায়ী (Asia Power Index) মূল্যায়ন করা হয় পশ্চিমে পাকিস্তান, উত্তরে রাশিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত। এই তালিকার মধ্যে রয়েছে অন্তত ২৭ টি দেশ এবং অঞ্চল।
তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে গত ৬ বছরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে। এই অঞ্চলের শক্তিকেন্দ্রের যে পরিবর্তন হচ্ছে তা ধরা পড়েছে ২০২৪ সালের এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে (Asia Power Index) । সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকা এখনো পর্যন্ত একটি শক্তিশালী দেশ কিন্তু সামরিক দিক থেকে যথেষ্ট চাপ বাড়ছে চীনের। প্রতিটি দেশের মূল্যায়ন হয়েছে অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক এবং অন্যান্য শক্তির ভিত্তিতে। সামরিক দিক থেকে চীন যথেষ্ট শক্তিশালী দেশ কিন্তু এই দেশের কোনরকম সামগ্রিক বিকাশ ঘটেনি। শক্তির দিক থেকে দেখতে গেলে চীন এখনো পিছিয়ে রয়েছে আমেরিকার থেকে। তবে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে চীনের শক্তি অনেকটাই বেশি। এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে আটটি প্যারামিটারের মধ্যে ছয়টিতে চীনের থেকে এগিয়ে রয়েছে আমেরিকা।
আরো পড়ুন: বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বন্দে মেট্রো অতীত, এবার ভারতে চালু হতে চলেছে এয়ার ট্রেন
এই সমীক্ষা রিপোর্টে (Asia Power Index) ভারতের সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, খুব ধীরে হলেও ভারতের উন্নতি হচ্ছে এবং একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হচ্ছে। জাপানকে টপকে ভারত এশিয়ার তৃতীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ভারত একটি সম্পদশালী এবং শক্তিশালী দেশ, এর সম্পদের অধিকাংশই এখনো হাতের নাগালের বাইরে। এশিয়ায় ভারতের শক্তি বাড়ছে। জাপানকে টপকে প্রথমবারের মতো তারা তৃতীয় স্থান দখল করেছে। তবে ভারতকে নিয়ে যে প্রত্যাশা রয়েছে এবং বাস্তব ছবি যা তার মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্সে দেখা যাচ্ছে, এখনও মালাক্কা প্রণালীর পূর্বে শক্তি এবং প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে নয়া দিল্লির ক্ষমতা সীমিত। তবে ভারতের শক্তি বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে ভবিষ্যতে।
পাশাপাশি এই অঞ্চলে নিরাপত্তাগত বিষয়গুলিতে জাপান আগের তুলনায় অনেক বড় ভূমিকা নিতে চলেছে। জাপান ছিল অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে একটি শক্তিকেন্দ্র। পরবর্তীকালে টোকিয়ো প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার দিকে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে। অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ার জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে টোকিয়োর প্রভাব অনেকটাই কমেছে। জাপান ছিল একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত দেশ, কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া, চিন এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলি এই ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে এসেছে। জাপান বর্তমানে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। জাপান প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে তাই এখনও ক্রমতালিকায় অনেকটা উপরে আছে টোকিয়ো।