নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া তাদের করোনা ভ্যাকসিন আনার দাবি করল। তবে এই ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে সমস্ত রকম পর্যায়ে মানা হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। যে কারণে রাশিয়ার এই ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি আমেরিকাকে টেক্কা দিতে তড়িঘড়ি রাশিয়া এই ভ্যাকসিনের ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেছেন, এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং মানব শরীরে কোনো রকম
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। এই ভ্যাকসিন প্রেসিডেন্ট তার মেয়েকে দিয়েছেন। ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে একই রকম দাবি করা হয়েছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক ইনস্টিটিউট গামালেয়ার ডিরেক্টর আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ। আর রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে ঠিক সে সময়ই অক্সফোর্ডের করোনা টিকা Covishield নিয়েও সুখবর শোনা গেল।
বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ভারতীয়দের ২০২১ সাল পর্যন্ত করোনা টিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই এদেশে চলে আসবে অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন Covishield। এই ভ্যাকসিন ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’র পাশাপাশি ভারতেও তৈরি করছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। আর সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা দাবি করেছেন, হয়তো ডিসেম্বর মাসেই ভারতের বাজারে চলে আসতে পারে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টিকা Covishield।
আর এই ভ্যাকসিন বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে স্বল্পদামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি হয়েছে GAVI এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের। আর এই চুক্তির কথা টুইট করে নিজেই জানিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। পাশাপাশি তিনি টুইট করে এটাও জানিয়েছেন যে, এই ভ্যাকসিনের দাম সর্বাধিক ৩ মার্কিন ডলার হতে পারে। অর্থাৎ ধরে নেওয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিনের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২২৫ টাকা বা তার সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে। এই ভ্যাকসিনটি ভারত ছাড়াও বিশ্বের ৯২ টি দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে।
I would like to thank @BillGates, @gatesfoundation, @GaviSeth for this key partnership of risk sharing and manufacturing of a 100 million doses, which will also ensure equitable access at an affordable price to many countries around the world. https://t.co/NDmpo23Ay8 pic.twitter.com/jNaNh6xUPy
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) August 7, 2020
কিন্তু এরপরেও একটি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, যা হলো এই সেরাম ইনস্টিটিউট কত ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম? এই প্রশ্নের উত্তরে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই ৪০ কোটি ডোভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করে ফেলবে তার সংস্থা। আর তার সংস্থা যত ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করবে তার অর্ধেক ভারতীয় বাজারে জন্য বরাদ্দ করা হবে। আদর পুনাওয়ালার কথা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হচ্ছে চলতি বছর যদি সেরাম ইনস্টিটিউট ৪০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করে থাকে তাহলে ২০ কোটি ডোজ ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হবে।