নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা অতিমারি থেকে বাঁচার জন্য মানুষ এখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন ভ্যাকসিন। সাধারণ মানুষ যেমন ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ঠিক তেমনি বিজ্ঞানীরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যাকসিনকে বাজারে আনার জন্য। তবে এরই মাঝে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হলো, ‘ভ্যাকসিন এলেও সবাইকে দেওয়া হবে না।’ কাদের দেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হলো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে।
কেন্দ্র সরকারের অন্দরে বর্তমানে আলোচনার সবথেকে বড় বিষয়বস্তু হলো কাদের দেওয়া হবে এই করোনা ভ্যাকসিন। কেন্দ্র মনে করছে দেশের ৩০ কোটি মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলেই মহামারী আটকে দেওয়া সম্ভব হবে, সংক্রমণের যে চেন তা ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে। আর এই ৩০ কোটি মানুষের তালিকায় থাকছেন চিকিৎসকরা, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। তবে এদের ছাড়া আর কাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সেই তালিকা তৈরি করতেই কালঘাম ছুটে কেন্দ্রের বলে সূত্রের খবর।
এমনকি কাদের প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, সেই তালিকায় ইতিমধ্যেই যারা করোনা আক্রান্ত, যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে তাদের রাখা হবে কিনা তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। এর পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে না। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক এটাও জানিয়েছেন যে, ভ্যাকসিন আসার পরে এমন ঘটনাও সামনে আসবে যে অনেকেই তা নিতে চাইবেন না।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাপ্তাহিক বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে যে, সংক্রমণের ধারা রুখতে কেন্দ্র সরকার নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই টিকাকরণ করবে। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, “এমন কথা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কখনোই বলা হয়নি যে গোটা দেশে কেন্দ্র সরকার টিকাকরণ অভিযান করবে। টিকাকরণের পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা উপর। আসল লক্ষ্য হলো সংক্রমণের ধারাকে রুখে দেওয়া।”
#WATCH "Govt has never spoken about vaccinating the entire country," says Health Secretary Rajesh Bhushan
"If we're able to vaccinate critical mass of people & break virus transmission, then we may not have to vaccinate the entire population," ICMR DG Dr Balram Bhargava added. https://t.co/HKbssjATjH pic.twitter.com/egEB1TAiC9
— ANI (@ANI) December 1, 2020
একইভাবে আইসিএমআরের প্রধান ডাঃ বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো ভাইরাসকে ঠেকানো। সে ক্ষেত্রে যারা গুরুতর আক্রান্ত তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া এবং সংক্রমণের চেনকে ভেঙে দেওয়া। তাহলেই আর গোটা দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”