করোনায় ভারতে একদিনেই মৃত ২০০৩! কিন্তু কেন এমনটা হলো

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনকে দিন করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গোটা দেশে। সংক্রমণের সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনাতে। ফলস্বরূপ ২৪ ঘন্টায় ভারতে বৃদ্ধি পেল মৃত্যুর হার। গত মঙ্গলবার যা ছিল ২.৯ শতাংশ, বুধবার তা বেড়ে দাঁড়ালো ৩.৪ শতাংশ। এই সংখ্যা ও হার বৃদ্ধি উদ্বেগজনক হলেও আসলে ভীত হওয়ার কিছু নেই!

গত ২৪ ঘন্টায় ২০০৩ জনের প্রাণ হারানোর এই হিসাব তা আসলে‌ খাতা-কলমের হিসাব। হ্যাঁ, গত বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে রিপোর্ট পেশ করেছেন তাতে করোনাতে প্রাণ হারানোর সংখ্যা দেখাচ্ছে ২০০৩ জন। আসলে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩১ জন, অন্যান্য দিনের মতোই। তাহলে বাকি ১৬৭২ জন কোথা থেকে এলো?

এই ১৬৭২ জন আসলে অনেক আগেই মারা গেছেন। কিন্তু কিছু অসুবিধার কারণে রাজ্যগুলি তখন কেন্দ্র সরকারকে সেই রিপোর্ট পেশ করতে পারেনি। আর সেই সমস্ত রিপোর্ট গত মঙ্গলবার তারা কেন্দ্রের কাছে দাখিল করে। ফলে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩১ জনের সঙ্গে এই ১৬৭২ জনের সংখ্যাও জুড়ে যায়। ফলে খাতায়-কলমে হিসাব অনুযায়ী দেশে ২৪ ঘন্টাতেই প্রাণহানির সংখ্যা ২০০৩ দেখাচ্ছে। আর ১৬৭২ জন গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে মহারাষ্ট্র ও দিল্লির কিছু অংশে মারা যান।

গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের ফলে মারা গেছেন ৯৩ জন। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিল মাস মিলিয়ে দিল্লিতে আরও ৩৩৪ জন মারা গিয়েছিলেন, যাদের রিপোর্ট এতদিন পর দিল্লি সরকার পেশ করল কেন্দ্রকে। ফলে ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে খাতায়-কলমে হিসেব দেখাচ্ছে (৩৩৪+ ৯৩) ৪৩৭ জন।

ঠিক এরকমই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রেও। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আসলে মৃত্যু হয়েছে ৮১ জনের। মহারাষ্ট্রে মার্চ-এপ্রিল মাসে ১৩২৮ জন মারা গিয়েছিলেন। যাদের হিসাব সেই মুহূর্তে কেন্দ্রকে পেশ করা হয়নি। তাই গত মঙ্গলবার যখন মহারাষ্ট্র সরকার রিপোর্ট পেশ করে তখন গত দুই মাসের এই ১৩২৮ জনের হিসেব ৮১ জনের সঙ্গে জুড়ে দেয়। ফলে ২৪ ঘন্টায় মহারাষ্ট্রে খাতায়-কলমে দেখাচ্ছে (৮১+১৩২৮) = ১৪০৯।

আর এই ঘটনার পর সকলকে উদ্বিগ্ন হতে বারণ করা হলেও সাধারণ মানুষদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠছে, যেটি হল তার মানে এতদিন পর্যন্ত এই বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর খবর আটকে ছিল। আরও উদ্বেগজনক ঘটনা হলো ভারতে মোট প্রাণহানির সংখ্যাটা এখন ১০ হাজার ছাড়িয়ে ১১৯০৩।