Advertisements

রাতারাতি ঘুম উড়ে গেল চীনের, ভারতের অগ্নি ফাইভের ক্ষমতা ভাবাচ্ছে বেজিংকে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : সীমান্ত এলাকায় চীনের সঙ্গে ভারতের বরাবর চাপা উত্তেজনা রয়েছে। চীনের আগ্রাসন নীতির কারণেই এই চাপা উত্তেজনা এবং চীন সুবিধা পাওয়ার জন্য পাকিস্তানকেও কাজে লাগিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তবে এবার ভারতের এক পদক্ষেপেই ঘুম উড়ে গেল চীন সহ ভারত শত্রু দেশগুলির।

Advertisements

লাদাখের পর যখন তাওয়াংয়ে হানা দেয় লাল ফৌজ সেই সময় তারা পিছু হটলেও ভারত কোনোভাবেই চীনকে প্রশ্রয় দিতে চাইছে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য অগ্নি ফাইভের সর্বোচ্চ উৎক্ষেপণ করা হয়। এই মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দিল চিনির প্রতিটি শহর ভারতের হাতের তালুর মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisements

ওড়িশা উপকূলের কাছে বঙ্গপোসাগরে এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উৎক্ষেপণ করা অগ্নি ফাইভ ব্যালাস্টিক মিসাইল অত্যাধুনিক পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। ২০১৩ সালের প্রথমবার এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং তারপর এই নিয়ে নয় বার মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হলো।

Advertisements

প্রায় ৫৪০০ কিলোমিটার দূরে নিখুঁতভাবে হানা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই মিসাইলের। এক টন অর্থাৎ ১০০০ কিলোগ্রামের বেশি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করতে পারে অগ্নি ফাইভ। ডিফেন্স রিসার্চ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন এই অত্যাধুনিক মিসাইলের ডিজাইন করেছে। ভারত থেকে এই মিসাইল বেজিংকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করা হলে সেখানেও নিখুঁতভাবে হানা দিতে সক্ষম।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের তরফ থেকে অগ্নি ফাইভ মিসাইল উৎক্ষেপণ করার ফলে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করেছে চীনের। এমনিতেই যখন ভারত এই মিসাইল উৎক্ষেপণ করার জন্য NOTAM জারি করে তখন থেকেই তারা রীতিমত উদ্বেগের মধ্যে ছিল বলে জানা যাচ্ছে। কারণ NOTAM জারি করার পরেই দেখা যায় ভারত মহাসাগরের চীন পাঠিয়েছিল গুপ্তচর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ফাইভ।

Advertisements