নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের রেল পরিষেবায় যুক্ত হচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই সকল পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে যাত্রী সুরক্ষা, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ এবং অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ইত্যাদি। এই সকল লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এবার ভারতে ছুটে চলেছে এরোপ্লেনের গতিতে ট্রেন।
পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে যে বুলেট ট্রেন চালানো হবে তার গতিবেগ থাকবে এরোপ্লেনের গতিবেগের সমান। ভারতে যে প্রথম বুলেট ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে তার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। তবে পরীক্ষা সফল হওয়ার পর যখন যাত্রীবাহী বুলেট ট্রেন ছুটবে সেই সময় তার গতিবেগ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা হবে ঘন্টায় ৩২০ কিমিতে। রেল আধিকারিকদের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ভারতের মাটিতে প্রথম যে বুলেট ট্রেন চালানো হবে তার রুট হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে গুজরাটের সুরাট থেকে বিলিমোরা। এই রুটে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হয়ে পথ চলা শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকেই। ইতিমধ্যেই জাপানের সহযোগিতায় এই কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের এক আধিকারিকের তরফ থেকে।
ইতিমধ্যেই ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি-সহ ভারতের অন্যান্য আধিকারিকরা গুজরাতে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করেছেন। কাজের অগ্রগতি দেখে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “যাত্রী সুবিধা এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এই ট্রেনের ফলে। আকাশ পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে টক্কর দিতে পারবে বুলেট ট্রেন।”
এরোপ্লেনের গতিবেগে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার ক্ষেত্রে বুলেট ট্রেন যাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি বিমান যাত্রার তুলনায় অনেক সহজ হবে এই সফর। চেক ইন করার ক্ষেত্রে সময় অনেক কম লাগবে এবং বিমানের তুলনায় অনেক বেশি লাগেজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে ব্যাগেজ চার্জ ছাড়া। পাশাপাশি এরোপ্লেনে যাতায়াত করার সময় মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু বুলেট ট্রেনে যাতায়াত করার সময় এই সকল ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে প্লেনের ইকোনমি ক্লাসের মতোই ভাড়া হবে এই ট্রেনের।