নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) থেকে নিম্নচাপ (depression) সরতেই ধাপে ধাপে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নেমে যাচ্ছে। সকালের দিকেও তাপমাত্রা কম থাকায় অক্টোবর মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই হালকা শীতের (winter) আমেজ অনুভূত হচ্ছে। হালকা এই শীতের আমেজ বিশেষ করে অনুভূত হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
কালীপুজো (kali puja) আসার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে এইভাবে হওয়ায় শীত অনুভূত হওয়ায় অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন কেমন পড়বে এবারের শীত। হাড় কাঁপানো নাকি ওই নামেই? শীতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
হাওয়া অফিসের (weather office) সেই সম্ভাবনা অনুযায়ী চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও গোটা দেশেই শীতের ব্যাপক দাপট লক্ষ্য করা যাবে। উত্তর ভারতে জাঁকিয়ে শীত পড়ার পাশাপাশি মোটামুটি গোটা দেশেই স্থান বিশেষে জাঁকিয়ে শীতের প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর শীতকালে গড় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস কম থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মূলত লা নিনার (la nina) প্রভাবেই এই কনকনে ঠাণ্ডা লক্ষ্য করা যেতে পারে।
আবহাওয়া সংক্রান্ত এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ রেন্নি ভেন্ডওয়েগে জানিয়েছেন, “এবারের মরশুমে গোটা উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে ওই মরশুমের শক্তি খরচ কম হবে।” আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সংস্থা ডিটিএন দাবি করেছে, শুধু উত্তর ভারত জাপান, কোরিয়া, চীনের মতো দেশের অন্যান্য বছরের তুলনায় তাপমাত্রা অনেকটা কমবে। সবথেকে বেশি শীত অনুভূত হবে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে।
পরিবেশবিদদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নিরক্ষীয় বায়ুর প্রভাবে সমুদ্রের গভীর থেকে শীতল স্রোত তৈরি হচ্ছে। এই শীতল স্রোত ইতিমধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিকে বলা হয় লা নিনা। এরই প্রভাবে উত্তর নিরক্ষীয় অঞ্চলে উষ্ণতা কমতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে একাধিক হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই বছর জাঁকিয়ে শীত পড়ার পূর্বাভাস জানানো হয়েছে।