নিজস্ব প্রতিবেদন : যানবাহনে শান্তিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে টোল প্লাজা বড়ই অশান্তির সৃষ্টি করে। অশান্তির সৃষ্টি হয় বেশিরভাগ টোল প্লাজায় লম্বা লাইন। এই লম্বা লাইনের কারণেই বহু যানবাহনকে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হয় টোল প্লাজায়। আর এই অশান্তি থেকে মুক্তি দিতে এবার সুখবর শোনানো হল কেন্দ্রের তরফ থেকে। পাশাপাশি টোল আদায়ের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি আনার কথাও জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।
নীতিন গড়কড়ি জানিয়েছেন, টোল আদায়ের বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। আর এই পরিকল্পনা উঠে যাবে দেশের সমস্ত টোল প্লাজা। তবে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে কিছুটা সময় লাগবে। অন্তত দু’বছর তো বটেই।
বণিকসভা অ্যাসোচেমের একটি সভায় নীতিন গড়কড়ি দাবি করেছেন, নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে টোল আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি টোল প্লাজায় লম্বা লাইন থেকে মুক্তি পাবেন আরোহীরা। যানজটে নাজেহাল হতে হবে না তাদের। পাশাপাশি নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার সাথে সাথেই গাড়ির গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সফল হবে কেন্দ্র। আর এই পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে সমস্ত রকম মাস্টারপ্ল্যান। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে রাশিয়ার একটি সংস্থা সাহায্য করবে ভারতকে। পাশাপাশি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার পর টোল ফাঁকি দেওয়ার মতো কোনো সুযোগই থাকবেনা চালকদের সামনে।
টোল আদায়ের নতুন পদ্ধতি
কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী যতটুকু জানা গিয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে জিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে গাড়িচালকদের থেকে টোল আদায় করবে সরকার। এই পদ্ধতি অনুযায়ী গাড়ি কতদূর যাবে, কোন রুটে যাবে, সেই হিসাব অনুযায়ী চালককে টোল দিতে হবে। আর এই টোলের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে।
পুরাতন গাড়িগুলিতেও যাতে জিপিএস লাগানো যায় তার জন্য কেন্দ্র সরকার আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন নীতিন গড়কড়ি। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো আরও বেশি পরিমাণে টোল আদায় করা। কিন্তু টোল প্লাজা উঠে গেলে টোল প্লাজায় কর্মরত কর্মীদের ভবিষ্যৎ কি হবে! এই প্রশ্ন এখন সামনে আসছে নতুন পদ্ধতির কথা জানার পরেই। যদিও এই বিষয়ে নীতিন গড়কড়ি কোন রকম স্পষ্ট জবাব দেননি।