নিজস্ব প্রতিবেদন : যে হারে দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন থেকে আমজনতার। করোনার এই নতুন স্ট্রেন ওমিক্রণের হানা ডেল্টা প্লাস সংক্রমণকেও ছাপিয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ থেকে আমজনতা প্রত্যেকের মাথায় ঘুরছে একটি কথা, ‘তাহলে কি ফের লকডাউন!’
রবিবার এক লাফে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫৫৩। একইভাবে বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যাও। প্রাণহানি হয়েছে ২৮৪ জনের। সেই তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা খুবই নগণ্য। সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ৯২৪৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিন কয়েকে কোন জায়গায় পৌঁছায় এই সংক্রমণ তা নিয়েই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা।
ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতি নিয়ে বারবার লকডাউনের প্রসঙ্গ উঠলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ দিয়ে অবশ্য শোনা গেল উল্টো কথা। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে, আগের মতো করোনা এবছর দেশের আর্থিক বৃদ্ধি রুখতে পারবে না। অর্থাৎ তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত, যতই করোনা বাড়ুক, লকডাউনের পথে হেঁটে আর্থিক বৃদ্ধিকে ফের স্লথ করে দিতে চান না তিনি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের দশম কিস্তির অনুদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি হাজির থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “একুশে মহামারীর মধ্যেও দেশ যেভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উন্নয়নের ধারাকে আরও গতি দিতে হবে আমাদের। করোনা বারংবার আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেও উন্নয়নের গতি রুখে দিতে পারবে না।”
এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দেশ সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং জাতীয় স্বার্থও পূরণ করবে।” প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এই সকল বক্তব্য স্পষ্ট, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লকডাউন নয় বরং সচেতনতাকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে দেশ। এছাড়াও বর্তমানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও এর ভয়াবহতা আগের মত নয়। বর্তমানে আক্রান্তদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। এই সব দিক তাকিয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করার আগে ধীরে চলার পক্ষেই কেন্দ্র বলে মনে করা হচ্ছে।