নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা প্রাণ হারাচ্ছেন অক্সিজেনের অভাবে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্য থেকে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। এমনকি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে একাধিক মুখ্যমন্ত্রীকে অক্সিজেনের জন্য কাতর আকুতি করতে দেখা যায়। আর এই অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে ২৩টি অক্সিজেন উৎপাদক প্ল্যান্ট আনা হচ্ছে। এগুলি কতটা সুরাহা জোগাবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
অক্সিজেন উৎপাদক প্ল্যান্টগুলি আনা হচ্ছে জার্মানি থেকে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে এগুলি ভারতে চলে আসবে। এনিয়ে জার্মানির সাথে চুক্তি চলছে। এগুলিকে আনার জন্য দেশের বায়ুসেনাকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্ল্যান্টগুলিকে রাখা হবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সেনা হাসপাতালগুলিতে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসা এবং আপাতকালীন পরিষেবার জন্য সেনাবাহিনীর পরিকাঠামো ব্যবহার করা যাবে। সেইমতো বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর এই পরিকাঠামো ব্যবহার করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শুক্রবারই ৮টি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন কন্টেনার বেগমপেট থেকে বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে নিয়ে আসা হয়। আরও একটি কন্টেনার সি-১৭ বিমানে উন্দোর থেকে জামনগরে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়। এর পাশাপাশি বায়ুসেনার সি-১৩০ বিমানে অসমের জোরহাট থেকে হিন্দন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আপাতকালীন মেডিকেল টিমের যন্ত্রপাতিও।
[aaroporuntag]
যে ২৩টি অক্সিজেন উৎপাদক প্ল্যান্ট জার্মানি থেকে আনা হচ্ছে সেগুলির বিশেষত্ব হলো, এগুলি প্রত্যেকটি ভ্রাম্যমাণ। অর্থাৎ অতি সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি এগুলি অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষেত্রে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন। এই প্ল্যান্টগুলি থেকে প্রতি মিনিটে ৪০ লিটার এবং প্রতি ঘণ্টায় ২৪০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদন সম্ভব। যে কারণে এই প্ল্যান্টগুলি দেশে এলে অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই মিটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।