TEJAS MK-1A: ভারতীয় সামরিক শক্তির মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী হলো ভারতীয় বায়ু সেনা। নিজেদের ফাইটার শক্তি বৃদ্ধির জন্য তারা নানারকম প্রচেষ্টা চালিয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই তারা পেতে চলেছে ৮৩ টির মধ্যে প্রথম ব্যাচের TEJAS MK-1A যুদ্ধ বিমান। তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী এবং মজবুত করার জন্যই এই যুদ্ধবিমান নির্মাণ করা হয়েছে। TEJAS-এর সঙ্গে ব্যবহার করা ইজরায়েলি সফ্টওয়্যার সম্পর্কিত কিছু পরিবর্তন করা দরকার ছিল। পরীক্ষা সম্পন্ন করে যা ব্যবহারের জন্য একেবারে তৈরি।
সূত্র অনুযায়ী একেবারে প্রথমে TEJAS (TEJAS MK-1A) ক্যাটাগরি-বি ইঞ্জিনের সঙ্গে সরবরাহ করা হবে। Category-B বলতে বোঝায় রিজার্ভ ইঞ্জিনগুলিকে। যেসব ইঞ্জিল অতীতের কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি TEJAS সিরিজের জন্য আমেরিকান বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক জেনারেল ইলেকট্রিক এর সঙ্গে পূর্বের চুক্তির অংশ হিসাবে সেগুলি আসে। বেশিরভাগ এখনো অব্যবহৃত অবস্থাতেই রয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং গত মাসে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সফরে। সেখানে তিনি উত্থাপন করেন বিলম্বের বিষয়টি। এরপরে ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক দ্বারা প্রদত্ত একটি সংশোধিত সময়সূচীর অংশ হিসাবে নতুন জেনারেল ইলেকট্রিক F404-IN20 ইঞ্জিনগুলি ভারতে আসা শুরু করবে নভেম্বর মাস থেকে।
আরো পড়ুন: আদানি গ্রূপের নতুন পদক্ষেপ, তৈরি হবে ৭১ হাজার চাকরির সুযোগ
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে IAF এর সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের। সেই চুক্তির অংশ হিসাবে নয়া বিমানের সরবরাহ শুরু হবে মার্চ মাস থেকে। বিমানটির প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়েছিল মার্চ মাসে অর্থাৎ যখনই বিমানটি আইএএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে তখন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। সফ্টওয়্যার পুনরাবৃত্তি সহ IAF দ্বারা চাওয়া কিছু পরিবর্তনের কারণে বিমানের বিতরণ কমপক্ষে চার মাস বিলম্বিত হবে।
তথ্য অনুযায়ী আরো জানা যাচ্ছে যে, ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স ইতিমধ্যেই আরো ৯৭ টি TEJAS MK-1A বিমানের অর্ডার দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি আইএএফ চলতি সপ্তাহে TEJAS-এর জন্য প্রচেষ্টা করছে আরও উৎপাদন লাইন স্থাপন করার। এছাড়াও প্রস্তাব করা হয়েছিল একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলের। পরের দশক এবং অর্ধেক ধরে দেশীয় যোদ্ধাদের প্রায় ৩০০ টি রূপ অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তুত হয়েছে।