বিমান বন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের (Airport Security Check) আগে ব্যাগ থেকে সমস্ত বৈদ্যুতিক সামগ্রী বের করার ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি মিলবে খুব শীঘ্রই। আর এই মুশকিল আসান করবে অত্যাধুনিক কমপিউটেড টোমোগ্রাফি যন্ত্র (Computed Tomography Machine)। যা দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে ইনস্টল করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটি।
বিমানে ওঠার আগে সমস্ত ব্যাগ স্ক্যান করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু, এত দিন সেই হাতব্যাগ স্ক্যানারে দেওয়ার আগে যাত্রীকে ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মোবাইল চার্জার, ট্যাবলেট- এ সব বার করে আলাদা আলাদা ভাবে জমা দিতে হত।
বর্তমানে বিদেশের বেশ কিছু ব্যস্ত বিমানবন্দরে (Airport) এমন প্রযুক্তিওয়ালা স্ক্যানার বসানো হয়েছে, যাতে থ্রি-ডি (3D Scanner) পদ্ধতিতে ব্যাগের ভিতরের জিনিসপত্র স্ক্যান করা যায়। জিনিসপত্র আর বার করতে হয় না। ব্যাগের ভিতরে রাখা অবস্থাতেই প্রতিটি জিনিসের থ্রি-ডি ছবি ধরা পড়বে। এ বার সেই বিশেষ প্রযুক্তিওয়ালা স্ক্যানারই বসতে চলেছে ভারতের বেশ কয়েকটি বড় এবং ব্যস্ত বিমানবন্দরে। ফলে সিকিউরিটি চেক ইন-এর সময়ে যাত্রীদের ঝঞ্ঝাট কিছুটা কমবে।
দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (CISF)। তারা বিদেশে গিয়ে ওই প্রযুক্তিসম্পন্ন স্ক্যানার দেখে এসেছে। এখানকার ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে প্রাথমিক ভাবে ওই যন্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো হবে। সফল হলে ওই স্ক্যানার বসানো হবে দেশের বড় এবং ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলিতে।
ঝঞ্ঝাট মুক্ত এই অত্যাধুনিক স্ক্যানার মেশিন যাত্রীদের অনেকটাই সুরাহা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর জেরে এয়ারপোর্টগুলিতে সিকিউরিটি চেকিংও আরও দ্রুত হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা করা ওই রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, CISF-এর কাছে পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতিও সঠিক সময় এসে পৌঁছয় না। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এই যন্ত্রপাতিগুলি সঠিক সময় CISF-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয় ওই রিপোর্টে।