Kamikaze Drone: ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বাধীনতার ৭৮তম বার্ষিকীতে পেল এক অভূতপূর্ব উপহার—দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কামিকাজে ড্রোন। ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজ (NAL) দ্বারা নির্মিত এই ড্রোন (Kamikaze Drone) শত্রুপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে পারে। ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত একটানা উড়ে শত্রুপক্ষের উপর নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন, যা শত্রুদের ঘুম কেড়ে নেবে। সেনাবাহিনীর হাতে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র স্বাধীনতার ৭৮তম বার্ষিকীতে আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক বড় পদক্ষেপ।
স্বাধীনতা দিবসের এই ড্রোনের বিশেষত্ব হলো, এটি আকাশে দীর্ঘক্ষণ ঘুরতে সক্ষম এবং যেকোনো সময় নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মঘাতী আক্রমণ চালাতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জাপানি ‘কামিকাজে’ বিমান যেভাবে আত্মবলিদান করত, ঠিক সেভাবেই এই ড্রোন (Kamikaze Drone) শত্রুর উপর আঘাত হেনে নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। এমন আত্মঘাতী হামলা চালানোর ক্ষমতা এটিকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা শত্রুপক্ষের রাডার এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজের ডিরেক্টর ড. অভয় পাশিলকর জানিয়েছেন, এই ‘দেশি শাহেদ ১৩৬’ ড্রোনটি লম্বায় প্রায় ২.৮ মিটার এবং এর ডানাগুলির দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিটার। ৩০ হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন দিয়ে চালিত এই ড্রোনটি (Kamikaze Drone) ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উড়তে সক্ষম এবং এটি ২৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে। এই ড্রোনের আত্মঘাতী আক্রমণের ক্ষমতা, দীর্ঘক্ষণ আকাশে থাকার ক্ষমতা, এবং নির্ভুল লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের ক্ষমতা একে একুশ শতকের যুদ্ধক্ষেত্রে একটি গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আরও পড়ুন : যতই সুস্বাদু হোক ইনারা ভুলেও ইলিশে টাচ করবেন না! সতর্ক করলেন চিকিৎসকরা
এই অত্যাধুনিক ড্রোনটি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি নাবিক (NAViC) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করতে সক্ষম, যা বিশেষ করে জিপিএস-বিহীন এলাকায় অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ড্রোনের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু শত্রুপক্ষের ওপর আঘাত হানবে না, বরং এটি ভারতকে আত্মনির্ভরতার নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
স্বাধীনতা দিবসে এই বিশেষ ড্রোনের (Kamikaze Drone) আত্মপ্রকাশ শুধু শত্রুপক্ষের ঘুম উড়িয়ে দেবে না, বরং ভারতীয় প্রতিরক্ষা শক্তিকে নতুনভাবে সংগঠিত করবে। দেশের আকাশে এই ড্রোনের উপস্থিতি ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং আত্মনির্ভরতার পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। শত্রুদের জন্য এই ড্রোন হবে এক অভাবনীয় আতঙ্ক, আর দেশের জন্য এক অমূল্য রক্ষাকবচ।