Indian Army got weapons that no one has except America or Russia: ভারত পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কথা তো আমরা সবাই অবগত। সম্প্রতি বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে চিন ও ভারতের দ্বন্দ্বও। চীন ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত বিশেষ কিছু জায়গার আধিপত্য নিয়ে শুরু হয়েছে এই দ্বন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এমন কিছু নতুন প্রযুক্তি (Indian Army Weapons) এসেছে, যা চীনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তি গুলোর ব্যবহারে চীনের বিরুদ্ধে যদি ভারত যুদ্ধ ঘোষণা করে, সেক্ষেত্রে চীনের জন্য তা মোটেও সুখকর নয়। এই আশঙ্কাতে সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে চীন।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে এসেছে যুদ্ধকালীন ব্যবহৃত একাধিক উপকরণ (Indian Army Weapons)। এই উপকরণগুলিকে নিজেদের দেশে ব্যবহার করার কারণ কি কোন গুপ্ত মিশন? এমনই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পারমাণবিক শক্তি চালিত ২ টি সাবমেরিন রয়েছে। আইএনএস অরিহন্ত এবং আইএনএস আরিঘাট। সাবমেরিন ২ টি নিয়ে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ প্রায় শেষের মুখে। আশা করা যাচ্ছে আর মাত্র ১ বছরের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে পৌঁছে যাবে সাবমেরিন ২ টি। এছাড়াও রাশিয়ার কাছ থেকে ১ টি আক্রমণাত্মক সাবমেরিন ১০ বছরের জন্য লিজে নিয়েছে ভারত। তার নাম আইএনএস চক্র। সমস্ত সাবমেরিন গুলির জন্য কোচি শিপ ইয়ার্ডে আলাদা করে নতুন ১ টি ঘাঁটিও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তবে, এই সমস্ত কিছুকে ছাঁপিয়ে গেছে অন্য একটি খবর। ভারতীয় বাহিনীর কাছে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক ১ টি পরমাণু চালিত মিসাইল সাবমেরিন। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভারতে ১ টি নতুন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সাবমেরিনটি মাল্টিপল ব্যালেস্টিক মিসাইল কেপেবল। অর্থাৎ একাধিক মিসাইল একসঙ্গে ছোঁড়া সম্ভব এই পরমাণু চালিত মিসাইল সাবমেরিনটি থেকে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি (Indian Army Weapons) সম্পন্ন এই সাবমেরিনটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন ? India China Trading: আমেরিকাকে ল্যাঙ! তলে তলে ভালোই জুড়েছে ভারত-চীন, পাত্তা পাচ্ছে না আমেরিকা
এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বের মধ্যে শুধুমাত্র আমেরিকার কাছে এমন প্রযুক্তি রয়েছে। ভারতে এই একই সাবমেরিন তৈরি হওয়ার খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে ভারতীয় সুরক্ষা ব্যাবস্থা কতোটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে চলেছে তা আন্দাজ করা যায়। ভারতও আমেরিকার সাথে একই গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি উন্নত হবে। ভারতীয় নৌ সেনাবাহিনী আরো বেশি মজবুত হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন প্রযুক্তি (Indian Army Weapons) সম্পন্ন এই সাবমেরিনটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে।
অন্যদিকে চলছে, ভারতে রাফেল রপ্তানির আলোচনা পর্বও। নৌ সেনার ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের এই যুদ্ধবিমানটি আমদানি করতে চলেছে ভারত। ভারতের দুটি যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তের জন্য এই রাফেল গুলিকে আনা হচ্ছে ভারতে। রাফেল যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে যে কোন মেরিন এয়ারক্রাফট এর সাথে অনায়াসে পাল্লা দিতে পারবে ভারত। প্রায় ২৬ টি মেরিন রাফেল আমদানি করতে চলেছে ভারত। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে একদল প্রতিনিধি ভারতে আসতে চলেছে। সাথেই আসবে রাফেলের প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা দাসোও। তাদের আসার একমাত্র উদ্দেশ্য রাসেলের আমদানি ও রপ্তানি সম্পর্কে আলোচনা করা। আলোচনা পর্বের পর দুই দল চুক্তি সম্মত হলে তবেই ফ্রান্স থেকে রপ্তানি করা হবে রাসেল। একাধিক নতুন প্রযুক্তি (Indian Army Weapons) যুক্ত করার মধ্যে দিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীকে প্রতিনিয়ত আরও উন্নত শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে ভারত সরকার। আর ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের এই উন্নতি খুব স্বাভাবিকভাবেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে শত্রু দেশগুলির কপালে।