নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২০ সালের ১৫ জুনের কথা এখনো ভুলতে পারেন নি ভারতীয়রা। যেদিন গালওয়ান উপত্যকায় হানা দিয়েছিল চিন সেনারা (China)। যেদিন দুপক্ষের লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাদের (Indian Army) ক্ষমতা টের পেয়েছিল চীন সেনারা। তবে লড়াইয়ে ভারতেরও রক্ত ক্ষয় হয়েছিল। চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে গিয়ে ভারতের ২০ জন সেনাকে শহীদ হতে হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের পর সীমান্তে ২ দেশের এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে লাগাম টানার জন্য শেষমেষ দফায় দফায় বসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সীমান্ত শান্ত হয়।
তবে এরপরেও চীন কিন্তু বারবার দাবি করে আসছে লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশ তাদের অংশ। আর এই ন্যায্যহীন দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই দিল্লির সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক দিন দিন তলানিতে যাচ্ছে। এমনকি চীনকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য একাধিকবার হুশিয়ারিও দিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এমন সব পরিস্থিতিতেই এবার খোঁজ মিলল, চীন যত সহজ ভাবছে তত সহজ আর নয়। এমনই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
এমনিতেই দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে হামেশাই কৌতুহলের শেষ থাকে না। কেননা বিভিন্ন সময় চীনের আগ্রাসী মনোভাবের বিষয় সামনে আসে। তবে এবার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে যা জানিয়েছেন তাতে ভারতীয়দের একদিকে যেমন স্বস্তির বিরুদ্ধে শুরু করেছে ঠিক সেই রকমই ঘুম উড়তে শুরু করেছে চীনের। কেননা আর চীনের এত সহজে ওঁৎ পাতা সম্ভব হবে না।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, চিন সীমান্ত এখন স্থিতিশীল থাকলেও স্পর্শকাতর। গত এক বছরে অন্য কোন অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়নি। তবে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মধ্য দিয়ে মিটে যাবে। সমস্যার সমাধান হওয়ার বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি সীমান্তে ভারতীয় সেনা মোতায়েন নিয়েও মনোজ পান্ডে কথা বলেছেন।
মনোজ পান্ডে জানিয়েছেন, ‘এলএসিতে সামরিক শক্তি এবং পরিকাঠামো অনেক উন্নত ও শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়াও অগ্নিবীরদের প্রথম নতুন দুটি ব্যাচ সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন করা হবে।’ সেনাপ্রধানের কথা অনুযায়ী চীনের কাছে আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা যতটা সহজ ছিল তা কিন্তু আর নেই। এখন একটু এদিক-ওদিক হলেই তারা পাল্টা জবাব দেবে ভারত।