সাধারণ মানুষও ৩ বছরের জন্য সুযোগ পাবেন সেনাবাহিনীতে কাজ করার

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সাধারণ মানুষও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই সুযোগ পাওয়া যাবে অফিসার সহ বিভিন্ন পদে। কাজের সুযোগ মিলবে তিন বছরের জন্য। জানা গিয়েছে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ু সেনার প্রধানরা বিস্তর আলোচনা করছেন। আর সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়ে গেলেই তা ঘোষণা করা হবে।

কিন্তু কেন এমন বেনজির সিদ্ধান্ত?

এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের সাধারণ মানুষদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেমকে জাগ্রত করা। সেই সঙ্গে দেশের প্রায় ১৩ লক্ষ সেনার জীবনযাপন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহাল করা। তবে শুধু সাধারণ মানুষেরাই নন, আধাসেনা ও কেন্দ্রবাহিনী থেকেও কর্মীদের ভারতীয় সেনায় যুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। সেক্ষেত্রে তারা সাত বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরে যাবেন।

ভারতীয় সেনার মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দ এই প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষকে সেনাবাহিনীতে যোগ করানোর সিদ্ধান্ত সত্যিই বেনজির। প্রাথমিকভাবে ১০০ থেকে ১০০০ জনকে নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। আর এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্যুর অফ ডিউটি’ বা ‘থ্রি ইয়ার্স শর্ট সার্ভিস’। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা সেনা জওয়ান হিসাবে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করতে না চাইলেও সেনাদের জীবন কেমন হয় তা উপভোগ করতে চান। তাদের জন্য এই ঘোষণায় বড় সুযোগ।”

সেনাতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়ের কাছে একটি নতুন অপারচুনিটিও। কারণ এক বছরের প্রশিক্ষণ ও তিন বছরের কাজের পর তাদের সামনে একটা ভালো চাকরির সুযোগ বাড়বে। এই সময়ের মধ্যে তাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস, নিয়মানুবর্তিতা, চাপ সামলানোর মতো অনেক গুণ গড়ে উঠবে। যে কারণে বড় বড় সংস্থাগুলি তাদের কাজে যোগ দেওয়ার পথ খুলে দেবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ যুব সম্প্রদায়ের কাছে কাজের সুযোগ ছাড়াও সেনাবাহিনীর খরচ কমার মত দুটি ক্ষেত্রে লাভবান বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা।

তবে তিন বছরের জন্য এই ঐচ্ছিক সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর যোগ্যতার মানদণ্ডের সাথে কোন রকম আপস করা হবে না। এমনটা সেনা তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০-১৪ বছর কাজের পর মধ্য তিরিশে সেনা বাহিনীর যেসব কর্মী অবসর নিতে বাধ্য হন তাঁদের হতাশা দূর করতে এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তিন বছরের ঐচ্ছিক চাকরির ক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ ধার্য হয়েছে ৮০-৮৫ লক্ষ টাকা।