হিমাদ্রি মণ্ডল : এতটা সাড়া পাওয়া যাবে কেউ হয়তো আগে ভেবে উঠতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ ই এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার রাত্রির ৯ টার সময় বাড়ির বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে ৯ মিনিটের জন্য মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালাতে বলেছিলেন। আর সেই ডাকে বিপুল সাড়া।অন্ততপক্ষে এখনো পর্যন্ত যে ছবিটা উঠে এসেছে তাতে এমনটাই বোঝা যাচ্ছে।
আমরা ভারতীয়রা গত ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন অবস্থায় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আর এই লড়াই যে ভারতীয়দের সমবেত লড়াই তা বোঝানোর জন্যই এদিনের এই অকাল দীপাবলি। তবে প্রধানমন্ত্রীর বৈদ্যুতিক আলো বন্ধ করে প্রদীপ, মোমবাতি অথবা টর্চ জ্বালানোর অনুরোধের পর আশঙ্কা বেড়েছিল গ্রিড ব্যবস্থা ভেঙে পরা নিয়ে। কিন্তু সে যাত্রাতেও রক্ষা, রক্ষা বিদ্যুৎ গ্রিড সংস্থাগুলির কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিকল্পনায়।
তবে এই মোমবাতি জ্বালানো নিয়ে ফের একবার প্রশ্নের সম্মুখীন মানুষদের সচেতনতা। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাড়ির ভিতর থেকে এগুলি করতে। কখনোই বলেননি বাজি ফাটাতে, ফানুস উড়াতে। তবে যেমন প্রধানমন্ত্রীর মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন যেমন মানলেন আমজনতা, ঠিক তেমনই আমান্যও হলো। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতির পাশাপাশি ফ্রিতে পাওয়া গেল বাজি, পটকা, ফানুস! আবারও সচেতনতাকে থেকে দূরে সরিয়ে ফেলে মানুষকে দেখা গেল রাস্তায় বেরিয়ে আসতে। কোটি কোটি মোমবাতি, প্রদীপের সাথে ফাটানো হল অজস্র বাজি। তিনি কি এমনটা বলেছিলেন?
তবে সে যাই হোক দীর্ঘদিনের লকডাউন থাকার পর এমন অকাল দীপাবলিতে খুশি সাধারণ মানুষ। তাই শুভেচ্ছা করণ নামে সিউড়ির এক স্কুল শিক্ষিকা জানিয়েছেন, “আমরা সবাই মিলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আর তা বোঝাতেই প্রধানমন্ত্রী এমনটা করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা মান্য করে আমরা সেটাই করলাম। আমরা এখানে কেউ আলাদা নয়। আমরা প্রত্যেকেই লড়াই করছি, যাতে করে আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়। আর প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেছিলেন তেমনটা বাস্তবায়িত হচ্ছে।”