Indian Economy: আমেরিকার ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ভারত! অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি নিয়ে বিরাট পূর্বাভাস

India will surpass America in the world economy and reach the second place: বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত বর্তমানে প্রথম দিকেই অবস্থান করছে। আসন্ন একবিংশ শতাব্দীতে ভারত অর্থনীতিতে (Indian Economy) তালিকার শীর্ষ দিকে থাকবে এমনটাই আশা করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। আন্তর্জাতিক সংস্থা আমেরিকান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাকস এক রিপোর্টে দাবি করেছে ভারত আগামী কয়েক দশক পরে শুধু জাপান বা জার্মানি কেই শুধু পিছনে ফেলে দেবে এমন নয় আমেরিকাকে ও পিছনে ফেরে অর্থনীতিতে প্রথম দিকেই স্থান পাবে।

বিশ্বের অর্থনীতিতে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করবে আগামী ৫০ বছর পরে অর্থাৎ ২০৭০ সালে এমনই তথ্য উঠে এসেছে গোল্ডম্যান স্যাকসের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টের মাধ্যমে। ৫২.২লক্ষ কোটি ডলারের দেশ পরিণত হবে আমাদের এই ভারতবর্ষ যা ১৫ গুণ বেশি বর্তমান জিডিপির তুলনায়। চলতি বছরের মার্চে ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy)।

সম্প্রতি ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। IMF রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত জাপান এবং জার্মানিকে পিছনে ফেলে ২০২৭ সালের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে গণ্য হবে। সেই সময় জাপানের অর্থনীতি গিয়ে দাঁড়াবে ৫.২ ট্রিলিয়ন ডলারে এবং জাপানের জার্মানির অর্থনীতি এগিয়ে দাঁড়াবে ৪. ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। সেখানে ভারতের অর্থনীতি (Indian Economy) হবে ৫.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।

গোল্ডম্যান স্যাকসের রিপোর্ট অনুসারে ২০৭০ সালে আমেরিকার অর্থনীতি ৫১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে পৌঁছবে সেখানে ভারত ৫২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে পৌঁছে যাবে দ্বিতীয় স্থানে। ভারতীয় অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্তের মতে, শুধুমাত্র জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক উন্নতি সম্ভব নয়।

আর্থিক উন্নতি নির্ভর করে মূলধন বিনিয়োগ এবং শ্রমিক পিছু উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে। ভারতের সঞ্চয়ের হার বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির ফলেই। মহামারীর সময়কাল থেকে পরিকাঠামোর উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যা অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়তা করেছে। রেল এবং সড়ক পরিবহন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য এটি আদর্শ সময় এমনটাই মনে করে গোল্ডম্যান স্যাকস। বর্ধিত জনসংখ্যা কে কর্মশক্তির মধ্যে যুক্ত করা এবং জনশক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় দেশের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আর্থিক উন্নতিতে সহায়তা করছে।