নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ ডিজিটাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান ধরনের প্রতারণা। প্রতারকরা এমন এমন ফাঁদ পাতছেন, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তা বুঝে ওঠার আগেই বহু কিছু উধাও হয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের তরফ থেকে উপদেশ হিসাবে ১৩ টি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এই সকল নির্দেশিকা মেনে চললে প্রতারণার ঘটনা অনেক এড়ানো যেতে পারে।
১) অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোর এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের ios app store ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে হবে না।
২) যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে সেই অ্যাপের রিভিউ পড়ে নিতে হবে এবং তা কতবার ডাউনলোড হয়েছে তা দেখে নিতে হবে। সন্দেহজনক অ্যাপ থাকলে তা ডাউনলোড করা যাবে না।
৩) কোন অ্যাপ কি কি পারমিশন চাইছে তা দেখে নিতে হবে। ওই অ্যাপের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি ছাড়া অন্য কিছু পারমিশন দেওয়া যাবে না।
৪) Untrusted Sources চেকবক্স এনেবেল করে বাইরে থেকে কোন অ্যাপ নিয়ে তা ইন্সটল করা যাবে না।
৫) অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোন আপডেট বা প্যাচ এলে তা দ্রুত ইন্সটল করে নিতে হবে, ফেলে রাখা যাবে না।
৬) কোন ইমেল অথবা এসএমএস থেকে আসা কোন অবিশ্বস্ত লিঙ্কে ক্লিক করা যাবে না।
৭) সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাংকের নাম করে বিভিন্ন ভুয়ো এসএমএস আসছে। এই ধরনের এসএমএস থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সেখানে থাকা লিংকে ক্লিক করলে হবে না।
৮) যে কোন লিংকে ক্লিক করার আগে তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ওয়েবসাইটে ক্লিক করার আগেও তা নিয়ে গবেষণা করে তারপর ক্লিক করতে হবে।
৯) জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলির নামে এদিক-ওদিক করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোলা হয়ে থাকে। যে কারণেই সেই সকল ওয়েবসাইটগুলিতে ক্লিক করার আগে সঠিক নাম রয়েছে কিনা তা দেখে নিতে হবে।
১০) স্মার্টফোনের মধ্যে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখতে হবে এবং তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট করতে হবে।
১১) ফোনে ছোট url অর্থাৎ bit.ly অথবা tinyurl -এর মতো URL এলে তাতে ক্লিক না করাই ভালো।
১২) ঠিকঠাক এনক্রিপশন রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে সবুজ লক আইকনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে যদি ঠিকঠাক সব কিছু থাকে তাহলে ইউজার নেম পাসওয়ার্ড ইত্যাদি দেওয়া উপযুক্ত।
১৩) যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা সামনে এলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক আধিকারিকদের জানাতে হবে অথবা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।