নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ লকডাউনের পর আনলক পর্বের অন্তিম সময়ে দেশ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সমস্ত রকম পরিষেবা। সেইমতো স্বাভাবিকের পথে রেল পরিষেবাও। তবে এই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পথে হলেও এখনো পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনে অনিশ্চিত অসংরক্ষিত কামরা। আবার এরই মধ্যে নতুন খবর দূরপাল্লার ট্রেনের কামরাগুলির ভোলবদল নিয়ে।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে কামরায় স্লিপার কোচের সংখ্যা কমানোর। এই স্লীপার কোচের সংখ্যা কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে এসি থ্রি টিয়ার ইকোনমি ক্লাসের। ইতিমধ্যেই এই ধরনের কোচ তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়েছে পাঞ্জাবের কাপুরথালা রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে।
তবে এই নতুন ধরনের কোচ এখনই ছাড়পত্র পাইনি ট্র্যাকে নামার জন্য। ট্র্যাকে নামার আগে এই নতুন কোচগুলির সুরক্ষার দিকটি পরীক্ষা করা হবে। রেলের রিসার্চ ডিজাইনস অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই তা ট্র্যাকে নামার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেবে। আর এই সকল কোচ ট্র্যাকে নামলে কম খরচে এসিতে চড়ার সুযোগ পাবেন মধ্যবিত্তরা।
তবে এই ধরনের চিন্তাভাবনা এই প্রথম নয়। ভারতীয় রেলের ইতিহাসে লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিল তখন গরিব রথ এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাপনা এনেছিলেন। তবে বর্তমানে যে কোচগুলি আনা হচ্ছে সেগুলি আগের তুলনায় অনেক উন্নত এবং আধুনিক বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।
কি কি সুবিধা থাকছে নতুন এই এসি থ্রি টিয়ার ইকনোমি ক্লাসের কোচে
বর্তমান এসি থ্রি টিয়ার ইকোনমি ক্লাসের কোচে আগের তুলনায় এগারোটি বার্থ বেশি থাকবে। সাধারণত যেখানে ৭২টি বার্থ থাকে সেই জায়গায় ৮৩টি বার্থ থাকবে। ফলে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে খরচ কমবে। সেই হিসাবে ভাড়াও কমবে যাত্রীদের।
নতুন আধুনিক এই কোচগুলি আগের তুলনায় অনেক উন্নত, হালকা এবং মজবুত বলে জানিয়েছে রেল।
[aaroporuntag]
প্রতিটি বার্থে থাকবে স্ন্যাকস টেবিল, চার্জিং পোর্ট, রিডিং লাইট, উপরের বার্থে চড়ার জন্য উন্নতমানের সিঁড়ি, কোচে ফায়ার অ্যালার্ম, চওড়া দরজা, টয়লেট, পা দিয়ে চেপে টয়লেটের ট্যাপের ব্যবস্থা, আধুনিক আলো ইত্যাদি।