নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেশে যেখানে কাছাকাছি ১৫০ কোটি মানুষের বসবাস, সেই দেশে প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। প্রতিদিন এই বিপুলসংখ্যক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করার পরিপ্রেক্ষিতে এই রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বা লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে।
গণপরিবহনের এই লাইফ লাইন পরিষেবা যাতে সঠিকভাবে পেয়ে থাকেন যাত্রীরা এবং নিরাপদ ভাবে যাত্রা করতে পারেন তার জন্য ভারতীয় রেল প্রতিনিয়ত কোন না কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এরই মধ্যে দিন কয়েক ধরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হয়, স্টেশনে নাকি আর কোন টিকিট কাউন্টার থাকবে না। ধাপে ধাপে দেশের প্রতিটি রেজিস্ট্রেশনে রিজার্ভেশন কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটছে ভারতীয় রেল!
স্টেশনে টিকিট কাউন্টার উঠে যাবে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় দেশের নাগরিকদের মধ্যে। কারণ টিকিট কাউন্টার উঠে গেলে তা সত্যিই বড্ড ঝামেলার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, বিশেষ করে যারা অনলাইনে টিকিট বুকিং করতে সরগরম নন। তাহলে তাদের টিকিট বুকিং করার জন্য এজেন্টের কাছে ছুটতে হবে।
যখন এই ধরনের খবর দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে সেই সময় বাধ্য হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় রেলকে মুখ খুলতে হলো। রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে, কিছু সংবাদ মাধ্যম স্টেশনে টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যাবে এমন খবর সম্প্রচারিত করছে যা সম্পূর্ণ ভুল। এই ধরনের কোন পরিকল্পনা ভারতীয় রেলের তরফ থেকে গ্রহণ করা হয়নি।
Some media reports are being circulated that the railway is planning to do away with the train reservation counters. It is informed that no such action has been taken by the railways and that there is no such proposal under consideration.
#IndianRailways @RailMinIndia @drmkota— West Central Railway (@wc_railway) August 18, 2022
এমন ভ্রান্ত খবর দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমে দিন ধরেই প্রচারিত করা হয়। এই সকল ভুল খবর সম্প্রচারের ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই ধরনের খবর প্রচারিত করা হচ্ছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য? নাকি সরকারকে বদনাম করার জন্য? যদিও ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়নি এমন ধরনের খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা।