‘১৫ই এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ চলবে ট্রেন!’, কি বলছে রেল কর্তৃপক্ষ

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগেই একটি খবর প্রচারিত হয়েছিল ১৫ই এপ্রিল থেকে রেল চলাচল ধাপে ধাপে শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে জানা যায় সেই খবর ভুয়ো। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, এখনো পর্যন্ত ১৫ তারিখ থেকে রেল চলাচল করা হবে কিনা তা নিয়ে কোনোরকম পর্যালোচনা হয়নি। যদি ভবিষ্যতে এরকম কোনো পরিকল্পনা হয়ে থাকে তাহলে জানানো হবে।

এরপর আবার বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হতে শুরু করে, ‘১৫ই এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য চলতে পারে দূরপাল্লার ট্রেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।’ কিন্তু এদিনের এই খবরেরও সত্যতা কতটা? তা নিয়ে আবার মুখ খুলতে হলো রেল কর্তৃপক্ষকে। ফের রেল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বিকাল বেলায় ট্যুইট করে রেল চলাচল শুরু করা নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা নিয়েছে তা বিস্তারিত জানায়।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে ট্যুইট জানানো হয়, “লকডাউনের পর ট্রেন চলাচল নিয়ে রেলমন্ত্রক এখনো পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করেনি, যেমনটা কিছু সংবাদ মাধ্যম এই নিয়ে ভুল খবর প্রকাশ করছে। যখন এই ব্যপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তখন প্রত্যেককে অবহিত করা হবে। দয়া করে ভুয়ো খবরের প্ররোচনায় পা দেবেন না।”

কিন্তু বারবার এমন বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে কেন?

গত ২৪ শে মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই ২২ শে মার্চ জনতা কারফিউয়ের দিন থেকেই একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায় ভারতের প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ২৪ তারিখ থেকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। কেবলমাত্র জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের জন্য চলাচল করছে মালবাহী ট্রেন। আর নতুন করে ট্রেন চলাচল শুরু করা নিয়েও কোনো বিবৃতি দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এই বিরম্বনার মূলে রয়েছে, আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট। জানা গিয়েছে, ১৫ তারিখের ডেট থেকে রেলের টিকিট কাটা যাচ্ছে রেলের। আর যার পরেই জল্পনা শুরু হয়, ১৫ তারিখ থেকে চালু হচ্ছে রেল পরিষেবা। কেউ কেউ আবার মতামত পোষণ করেছেন, ১৫ তারিখের পর থেকে ধীরে ধীরে চালু হবে রেল পরিষেবা। কিন্তু বারংবার এমন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে তৈরি হওয়া প্রশ্ন নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, “এখনো পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল নিয়ে কোনোরকম সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। সিদ্ধান্ত অথবা পরিকল্পনা গ্রহণ হলে সঠিক সময়ে তা জানানো হবে।”