নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর নির্ভর করে প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় রেলকে গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। তবে ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট এবং খাবার নিয়ে নানান অভিযোগ তুলতে দেখা যায়।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নানান পরিবর্তন আনা হয়। সেই সফল পরিবর্তন অবশ্যই যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই আনা হয়ে থাকে। সেরকমই এবার খাবারের মান ও বৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যা রেলের ইতিহাসে প্রথম।
সম্প্রতি রেলের তরফ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে যাত্রীরা ট্রেনে সফর করার সময় শিঙাড়া, ইডলি, ব্রেড বাটার, ধোকলা, পোহা থেকে শুরু করে বার্গার, মোমোর মতো সব ধরনেরই বিদেশি খাবার অর্ডার করতে পারবেন। আসলে দেশে যে সকল প্রিমিয়াম ট্রেন চলে সে সকল প্রিমিয়াম ট্রেনে খাবারের সেইরকম কোন বৈচিত্র না থাকার কারণে অনেকেই খাবার খেতে পছন্দ করেন না। এছাড়াও এই সকল ট্রেনে যে প্যান্টি কার রয়েছে সেখানে থাকে সীমিত পরিমাণ খাবার ও পানীয়।
তবে এই সকল সমস্যার সমাধান করার জন্য আ লা কার্টে চালু হয়েছে নানান ধরনের রকমারি খাবার বিক্রি। আ লা কার্টে যে সকল খাবার পাওয়া যায় তার দামও প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন রুটির দাম ১০ টাকা (প্রতি পিস), আলু বোন্ডা বা সুখিয়ান বা কোজুকাট্টার দাম ২০ টাকা, কচুরির দাম ১০ টাকা (প্রতি পিস), চাটনি বা সম্বর সহ ২ পিস ইডলির দাম ২০ টাকা, ব্রেড বাটার বা বাটার টোস্টের দাম ২০ টাকা, শিঙ্গাড়ার দাম ২০ টাকা, দক্ষিণ ভারতীয় ২ পিস বড়ার দাম ২০ টাকা, গরম বা ঠান্ডা দুধ প্রতি গ্লাস ২০ টাকা।
এছাড়াও রয়েছে মশলা বা ডাল বড়া, দাম ৩০ টাকা (২ পিস), উপমা প্রতি প্লেটের দাম পড়বে ৩০ টাকা। উপমা মিলবে বিভিন্ন ধরনের, যেমন সুজির উপমা, গমের উপমা, ওটসের উপমা, সিমুইয়ের উপমা ইত্যাদি। ২ পিস দই বড়ার দাম পড়বে ৩০ টাকা, পকোড়ার প্লেটের দাম ৩০ টাকা, পেঁয়াজ বা আলু বা বেগুনের ভাজা পড়বে ৩০ টাকা করে।
ধোকলার দাম ৩০ টাকা, ২ পিস পনির পকোড়ার দাম ৫০ টাকা, প্রতি পিস ভেজ বার্গারের দাম ৫০ টাকা, রাজমা বা ছোলার তরকারির প্লেটের দাম ৫০ টাকা। পনির স্যান্ডউইচের দাম ৫০ টাকা, ভেজ নুডলস প্রতি প্লেটের দাম ৫০ টাকা, পাও ভাজি ৫০ টাকা প্লেট এবং গাট্টে কি সবজির দাম ৩০ টাকা প্লেট।