Indian Railways: ভারতীয় রেল যাত্রী সুরক্ষার জন্য নানারকম প্রকল্প গ্রহণ করে থাকে। আজকের প্রতিবেদনে এমন একটি অভিনব জিনিসের ব্যাপারে জানতে পারবেন। সম্প্রতি কয়েকটি বড় রেল দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য রেল নিয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা। যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায় বা দুর্ঘটনা যদি ঘটে তাহলে তাতে রেলের কর্মীদের গাফিলতি রয়েছে কি না, তা জানতে এবার নিরাপত্তায় নতুন প্রযুক্তি আনছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন। এবার থেকে ইন্টারঅ্যাকটিভ রিমোট মনিটারিংয়ের মাধ্যমে কন্ট্রোল রুমে বসেই শান্টিংএর কাজ দেখা যাবে। কিভাবে সম্ভব হবে এই কাজ জেনে নিতে পারবেন এই প্রতিবেদনে।
অনেকেই হয়তো মনে করে থাকেন রেলের (Indian Railways) দুর্ঘটনা ঘটে তীব্র গতিতে ট্রেন চলার জন্য, কিন্তু এই ধারণা একেবারে সত্যি নয়। গতি কম থাকলেও ট্রেন অনেক সময় পরিস্থিতির বিচারে বেলাইন হতে পারে। যখন একলাইন থেকে অন্য লাইনে ট্রেন যায় সেটাকে রেলের (Indian Railways) পরিভাষায় শান্টিং বলা হয়, এই শান্টিং একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং এই সময় কাজের কোথাও ভুল হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্য শান্টিংর দায়িত্বে থাকা রেলকর্মীদের পোশাকে এবার থেকে হতে চলেছে নতুন সংযোজন যা হলো ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা।
আরো পড়ুন: একটি রিলস্-এই ১,৫০,০০০ টাকা নগদ পুরষ্কার, দেবে স্বয়ং রেল কর্তৃপক্ষ
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হল যদি কোন কারণে ক্যামেরা অফ হয়ে যায় তাহলে কি হবে? এই প্রশ্নেরও জবাব রয়েছে রেলের কাছে। ক্যামেরা যাতে সহজে অফ না হয়, এইজন্য সাথে দেওয়া হবে পাওয়ার ব্যাঙ্ক। এই ক্যামেরা ডঙ্গলের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত থাকবে। গ্রাউন্ডে কি হচ্ছে শান্টিং এর সময়, তা কন্ট্রোল রুমে বসে রেল কর্তারা সরাসরি দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুন: ৮৩৭ কোটির বরাত পেলো RVNL, শুরু হবে নতুন লাইন পাতা এবং ব্রিজ নির্মাণের কাজ
এই অভিনব ব্যবস্থার ফলে রেলকর্তারা (Indian Railways) শান্টিং টিমের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তাদের নির্দেশ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাতে কোনোভাবেই নজরদারির ফাঁক ফোঁকর না থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ। রেলের সুপারভাইজাররা, ট্রাফিক ইনসপেক্টররা মোবাইলে এই অ্যাপ ডাউনলোড করে সরাসরি দেখতে পাবেন শান্টিংএ কোথাও কোনরকম অসুবিধা দেখা দিচ্ছে কিনা। ফলে সুবিধা বলতে, এই পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টাই শান্টিং-এ নজর রাখা যাবে।
ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনের (Indian Railways) বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ইন্টারঅ্যাকটিভ রিমোট সিস্টেমের নজরদারি শুরু হয়ে গেছে, যা পাইলট প্রজেক্ট নামে পরিচিত। রেলকর্তাদের কথায়, যেখানে যেখানে রেলকর্মীরা হাতে হাতল ঘুরিয়ে পয়েন্ট বদল করে এক ট্র্যাক থেকে অন্য ট্র্যাকে ট্রেন তোলে, যদি সেইসব জায়গায় নজরদারি বাড়ানো যায় তাহলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমবে। এই পদ্ধতি অনুসারে কাজের তালিকায় রয়েছে নৈহাটি, রানাঘাট, চিৎপুর ইয়ার্ড সহ বহু স্টেশন।