ট্রেনের টিকিটের নিয়মে আসছে বদল! দূর হয়ে যাবে ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা! বড় পদক্ষেপ রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : কম খরচ এবং কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করার জন্য রেল পরিষেবার বিকল্প আর কিছু হয় না। যে কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) এখন ভারতীয় নাগরিকদের কাছে হয়ে উঠেছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন। সম্প্রতি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ট্রেনে সফর করেছেন অন্ততপক্ষে ৩৭২ কোটি মানুষ। এই সংখ্যা দেখেই স্পষ্ট কত মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে থাকেন।

তবে যাত্রীদের এবং বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের দাবি, যদি ওয়েটিং লিস্টের মত ঝামেলা সরিয়ে অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা আনা হয় তাহলে এই সংখ্যাটা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তাদের কথা অনুযায়ী যাত্রীদের জন্য সিটের সংখ্যা এবং ট্রেনের সংখ্যা আরও পর্যাপ্ত করা দরকার। এবার এই পথেই হাঁটতে চলেছে রেল। রেলের তরফ থেকে এমন এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে আর ট্রেনের টিকিটে ওয়েটিং লিস্টের মত ঝামেলা থাকবে না।

সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে ইতিমধ্যে রেলের তরফ থেকে রেলের উপর এত চাপ কমানোর জন্য আগেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোভিড কালের পর দেশে ৫৬২টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে। মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের সংখ্যা ১৭৬৮ থেকে বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ২১২২টি। সাব আরবান ট্রেনের সংখ্যা ৫৬২৬ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭৭৪। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংখ্যা ২৭৯২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৮৫২। সব মিলিয়ে এদেশে এই মুহূর্তে ১০ হাজার ৭৪৮ টি ট্রেন যাতায়াত করছে।

কিন্তু এরপরেও যাত্রীদের চাহিদা পুরোপুরি ভাবে মেটাতে অক্ষম ভারতীয় রেল। প্রতিদিন নির্দেশের জনপ্রিয় রুটগুলিতে শত শত যাত্রীদের টিকিট না পেয়ে বিকল্প পথ বেছে নিতে হয় সফরের জন্য। এই সকল যাত্রীদের রেল পর্যাপ্ত টিকিট দিয়ে সফর করাতে পারলে যেমন যাত্রীদের সুবিধা হবে ঠিক সেই রকমই আবার রেলেরও বাড়তি রোজগার হবে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার আমূল পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মূলত রেলের তরফ থেকে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তাতে ২০২৭ সালের মধ্যে ট্রেনের সংখ্যা ১০৭৪৮ থেকে বাড়িয়ে করা হবে ১৩ হাজারের বেশি। এর পাশাপাশি আরও ৪০০০ থেকে ৫০০০ নতুন রেল ট্র্যাক পাতা হবে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের চাহিদা অনেকটাই মিটে যাবে এবং ট্রেনের টিকিট বুকিংয়ে চলে আসবে আমূল পরিবর্তন। ওয়েটিং লিস্টের মত ঝামেলা অনেকটাই মিটে যাবে।