নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এখনও লোকাল ট্রেন চলাচল করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমতি দেয়নি। তবে অনুমতি না দিলেও আগের নিয়ম অনুসারে চলছে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। স্টাফ স্পেশাল সেই সকল লোকাল ট্রেনগুলিকে বহু মানুষ ব্যবহার করছেন তাদের যাতায়াতের জন্য। এই স্টাফ স্পেশাল ট্রেন এখন আমজনতার অন্যতম গণপরিবহণের মেরুদন্ড হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই কলকাতায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঁধভাঙ্গা ভিড়। মূলত বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটছে শহর এবং শহরতলীর প্রতিমা দর্শন করতে। এই কারণে স্বাভাবিকভাবেই হাওড়া ও শিয়ালদাগামী ট্রেনগুলিতে উপচে পড়ছে যাত্রীদের ভিড়। আর এই ভিড় দেখেই রাতেও স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল হাওড়া ডিভিশন। অন্যদিকে শিয়ালদা ডিভিশনও এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা না জানালেও জানা যাচ্ছে প্রয়োজন পড়লেই তারা ট্রেন চালাবে।
রাতে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো নিয়ে যে তালিকা সামনে এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, মধ্যরাতে হাওড়া থেকে রাত ১২.৪৫ মিনিটে বর্ধমান মেন শাখার জন্য একটি ট্রেন ছাড়বে। যে ট্রেনটি ৩.১০ মিনিটে বর্ধমান পৌঁছবে।
বর্ধমান থেকে হাওড়ার দিকে রাত ৯.৩০ মিনিটে ছাড়বে একটি ট্রেন। যা ১২.০৫ মিনিটে হাওড়া পৌঁছবে।
রাত্রি ১.১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে বর্ধমান কর্ড লোকাল ছাড়বে।
রাত ১০.৩০ মিনিটে বর্ধমান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছাড়বে। এছাড়াও রাত ১টা, ১.৫০ এবং ২.৫০ মিনিটে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকাল তিনটি ট্রেন ছাড়বে। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়ার উদ্দেশেও সেগুলি ছাড়বে রাত ১১.৩০, ১২.৩০ ও ১.৩০ মিনিটে।
শেওড়াফুলির থেকে রাত ১২.৩০টায় তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে একটি ট্রেন ছাড়বে। তারকেশ্বর থেকে হাওড়ার উদ্দেশে আরও একটি ট্রেন ছাড়বে রাত ১১.১০ মিনিটে।
তবে এই সকল যে বাড়তি ট্রেন গভীর রাত পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সকল ট্রেনগুলি পুজোর কয়েকটা দিন চলবে এই বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে।