নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। রেল পরিষেবার এমন চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেল পরিষেবাকে ভারতের গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। রেল পরিষেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিষেবা ঠিক সেইরকমই রেলযাত্রীদের সুরক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন কথা মাথায় রেখেই রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে বিভিন্ন সময় নানান পরিবর্তন আনা হয়।
রেলের তরফ থেকে যে সকল পরিবর্তন আনা হয় সেই সকল পরিবর্তনের মধ্যে কখনো ট্রেনের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় আবার কখনো রেল ট্র্যাকে কাজ করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক সব বন্দোবস্ত করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার রেলের বড় উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০টি ট্রেনের কপাল খুলতে চলেছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৪০টি ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনছে ভারতীয় রেল।
রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের সফর আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করার জন্য ট্রেনের অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তাদের আইসিএফ কোচগুলিকে এলএইচবি কোচে রূপান্তরিত করার কাজ চালাচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? Railway Budget 2024: এবারের বাজেটে কি পেল রেল! না জানলেই নয় এই ৩ পয়েন্ট
যে সকল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি হল ফায়ার ও স্মোক ডিটেকশন সিস্টেম, ফায়ার ডিটেকশন ও সাপ্রেশন সিস্টেম ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যবহার করা শুরু হয়েছে অ্যাসপিরেশন টাইপ স্মোক ডিটেক্টর্স এবং অ্যারোসল ভিত্তিক ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেমের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। বর্তমানে এই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে ৪০টি ট্রেনে। এর আগে ৯টি ট্রেনে পরিবর্তন আনা হয়েছিল।
এলএইচবি কোচে আধুনিক হাইড্রলিক শক অ্যাবসর্বার এবং উন্নতমানের সাসপেনশন সিস্টেম থাকার কারণে তা অনেক বেশি আরামদায়ক সফরের ক্ষেত্রে। এছাড়াও এই ধরনের কোচ এমন প্রযুক্তিতে তৈরি যা সংঘর্ষ প্রতিরোধী। যে কারণে দুর্ঘটনার মত ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানির সংখ্যা অনেক কম হয়। এছাড়াও উচ্চগতিতে থাকলেও দ্রুত যাতে ব্রেক কষা যায় তার জন্য এই ধরনের কোচে রয়েছে অ্যাডভান্সড নিউমেটিক ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম।