নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের অন্যতম মেরুদন্ড হল রেল পরিষেবা। করোনাকালে দীর্ঘদিন এই রেল পরিষেবা ব্যাহত থাকায় দেশের মানুষ কতটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তা কারোর অজানা নয়। পরবর্তীতে সেই রেল পরিষেবা পুনরায় সচল হলেও বৃদ্ধি করা হয় ভাড়া। পরে আবার ভাড়া কমিয়ে আগের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল। তবে এরই মাঝে নতুন বছরের শুরুতেই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত রেলের।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সদ্য রেলের প্যাসেঞ্জার মার্কেটিংয়ের তরফ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেই নোটিশ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে রেলের প্রতিটি জোন ম্যানেজারদের কাছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে কোন স্পষ্ট দিশা এসে পৌঁছায়নি।
বাড়তি ভাড়া হিসেবে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত যাত্রীদের গুনতে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রেলের তরফ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই রাখা হবে। পাশাপাশি রেলের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, এই ভাড়া বৃদ্ধি কেবলমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেই লাগু হবে। লোকাল ট্রেন অথবা কম দূরত্বের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।
ভাড়া বৃদ্ধির কারণ হিসেবে যা জানা যাচ্ছে তা হল, স্টেশনের মানোন্নয়ন সহ একাধিক পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য ভারতীয় রেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে রেলের এই সিদ্ধান্তের কারণে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের মধ্যে বাড়তি চাপ পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনেককেই রেলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মতামত পোষণ করেছেন।
আবার এটাও জানা যাচ্ছে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের থেকে বাড়তি আদায় হওয়া টাকা বিভিন্ন স্টেশনের মানোন্নয়নের কাজে লাগানো হবে। দেশের স্টেশনগুলিকে ক্লাস অনুযায়ী গুরুত্ব দিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হবে।