Kanchankanya Express: সাব্বাস কাঞ্চনকন্যা! এবার দুর্ঘটনা নয়, চালকের তৎপরতায় বাঁচলো একের পর এক প্রাণ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনো একমাস কাটেনি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়া। যে দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১১ জন রেল যাত্রীর। যে দুর্ঘটনার আতঙ্ক এখনও কেটে ওঠেনি। যে দুর্ঘটনার পর থেকে এখনো বহু যাত্রীরা রয়েছেন যারা ট্রেনে চড়তে ভয় পাচ্ছেন। এসবের মধ্যেই এবার এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল, যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশংসা না করলে নয়। তবে একদিকে যেমন এমন ঘটনা প্রশংসার দাবি, ঠিক সেই রকমই ফের একবার রেলের গাফিলতিও সামনে এসেছে।

আসলে মঙ্গলবার বিকালে যে ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসকে (Kanchankanya Express) তাতে ফের একটি দুর্ঘটনা ঘটেই যেতে পারতো। তবে এবার দুর্ঘটনা নয় বরং কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক তৎপরতার সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক পরে ট্রেন থামিয়ে দেন। আর ওই চালকের এমন তৎপরতায় প্রাণ বেঁচেছে একের পর এক মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই পরিচালককে সাব্বাসি দিতেই হবে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকাল বেলায় শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস নিজের গতিতেই ছুটে চলেছিল। সবুজ সিগন্যাল থাকার কারণে ট্রেনটি বেশ দ্রুতগতিতেই চলছিল। এমনকি লেভেল ক্রসিংয়ের সিগন্যালও সবুজ থাকার কারণে ট্রেন সাবধানে চালানোর মত কোন তৎপরতা ছিল না। কিন্তু সেই সময়ই দেখা যায় লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ নেই। লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ না থাকার কারণে পথ চলতি মানুষ এবং যানবাহন নিজেদের ছন্দেই রেললাইন পারাপার করছিলেন। প্রচুর যানবাহন ছিল ওই রেল লাইনের উপর। আর এমনটা দেখে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের চালক তৎপরতার সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন।

আরও পড়ুন 👉 Refund Train Ticket Fare: ট্রেন লেট! রেলের থেকে টাকা ফেরত পেতে মেনে চলুন এই পদ্ধতি

এমন ঘটনাটি ঘটেছে চালশা ও মালবাজার স্টেশনের মাঝে থাকা শোনগাছি চা বাগান এলাকার কাছে থাকা একটি লেভেল ক্রসিংয়ে। ওই লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আসে তখন দেখা যায়, লেভেল ক্রসিং নামানো নেই, যে কারণে যানবাহন এবং সাধারণ মানুষরা লাইন পারাপার করছেন। এছাড়াও গ্রিন সিগন্যাল অর্থাৎ থ্রু পাস সিগন্যাল দেওয়া থাকলেও গেটম্যানকে চালক পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেননি। তখনই সন্দেহ হতেই পরিচালক ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেন। যতক্ষণে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয় ততক্ষণে ওই ট্রেনটি লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি চলে আসে। তবে সে যাই হোক চালকের এমন তৎপরতায় অনেক প্রাণ বেঁচে গিয়েছে।

এই ধরনের ঘটনা অর্থাৎ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যানকে দেখতে না পাওয়া গেলে রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনের চালক অথবা গার্ডকে গেটম্যানের খোঁজ নিতে হয়। দেখতে হয় তিনি কোন গুরুতর অসুস্থ অথবা অন্য কোন সমস্যায় পড়েছেন কিনা। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনায় যখন চালক ও গার্ড গেটম্যানের ঘরে ঢোকেন তখন দেখতে পান তিনি বহাল তবিয়তেই বসে রয়েছেন। তৎক্ষণাৎ ওই গেটম্যান নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেন। তবে এই ধরনের ঘটনায় সামান্য ভুলের জন্য কত বড় ক্ষতি হতে পারতো তা আন্দাজ করা যেতে পারে।