নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদণ্ড ভারতীয় রেল (Indian Railways)। দেশের ৫০ লক্ষের মানুষ প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াতের জন্য রেল পরিষেবাকে বেছে নেন। যে কারণেই ভারতীয় রেলকে এমন আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রেনের সংখ্যার দিক দিয়ে নজর রাখলেও প্রতিদিন বিভিন্ন স্টেশন থেকে ২৮ হাজারের কাছাকাছি ট্রেন বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে। বিশ্বের বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে ভারতীয় রেল অন্যতম এই সকল কারণেই।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো প্রতিদিন দেশের ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করলেও ট্রেনের অনেক কিছু তারা জানেন না। সাধারণ অনেক নিয়মও যাত্রীদের কাছে অজানা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ভারতীয় রেলে এমন কয়েকটি আশ্চর্য জিনিস রয়েছে যেগুলিও অনেকের কাছে অজানা।
উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে বলা যায়, নাম বিহীন রেলস্টেশন, একটি স্টেশনের মধ্যে দুটি রাজ্যের অবস্থান ইত্যাদি। সেরকমই ভারতে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে এক নদীর দুই তীরে রয়েছে দুই স্টেশন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই দুটি স্টেশন আবার দুটি দেশের মধ্যে অবস্থান করে।
আশ্চর্যজনক এমন স্টেশনটি কোথায় হতে পারে তা নিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই কৌতূহলের শেষ নেই। আসলে যে জায়গাটির কথা বলা হচ্ছে সেই জায়গাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গভীর ইতিহাস। এমন যে স্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেটির একটি স্টেশন ভারতে এবং অন্য স্টেশনটি হল বাংলাদেশে। আর এমনটা হয়েছে কেবলমাত্র ব্রিটিশ প্রশাসক রাডক্লিফের আঁকা দাগের কারণে। তার আঁকা দাগের কারণেই ভারত বিভক্ত হয় এবং একই নদীর তীরে থাকা স্টেশনটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
এমন স্টেশনটির নাম হল মনু বাজার স্টেশন। এই স্টেশনটি রয়েছে ত্রিপুরার ঢালাই জেলায়। এই স্টেশনটি রয়েছে নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের আওতায়। তেলিয়ামুড়া, আম্বাসা লাইনে লামদিং ডিভিশনের মধ্যে পড়ে মনু স্টেশনটি। এই স্টেশনে মোট চারটি ট্রেন দাঁড়ায়। ভারত বিভক্ত হওয়ার আগে এই স্টেশনে অনেক ট্রেন দাঁড়াত। কিন্তু ভারত ভাগ হয়ে যাওয়ার পর এই স্টেশনটি এইভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। স্টেশনটি অবিভক্ত ভারতের অন্যতম জ্বলন্ত উদাহরণ।