নিজস্ব প্রতিবেদন : পার্সেল ব্যবস্থায় নানান দুর্নীতির আঁচ পেতেই ভারতীয় রেল নতুন নিয়ম জারি করার সিদ্ধান্ত নিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে পার্সেল ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে সকল অনিয়ম চলছিল তা রুখে দেওয়া যাবে বলে মনে করছে ভারতীয় রেল।
এতদিন পার্সেল ভ্যান বন্টন করত কমার্শিয়াল বিভাগ। কিন্তু এবার থেকে তা বন্টন করা হবে অপারেশন, কমার্শিয়াল ও অ্যাকাউন্টস তিন বিভাগের যুগ্ম পরিচালনায়। এতদিন একটি বিভাগের হাতে এই পার্সেল ভ্যান বন্টন ব্যবস্থা থাকার কারণে অস্বচ্ছতা এসে পড়েছিল বলে ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অস্বচ্ছতা আসার কারণে কেবলমাত্র একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরাই ভিপি পেতেন নামে অথবা বেনামে। এই সকল ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে অন্যান্য সাধারণ ব্যবসায়ীরা ভিপি পেতেন না। এ নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে শুরু করে রেলের ঘরে। তারপরেই তদন্তে নামে পূর্ব রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ। সেখান থেকেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বের হয়। এর পরেই এই ব্যবস্থাকে তিন বিভাগের মধ্যে বন্টন করা হয়।
নতুন নির্দেশ অনুসারে এবার থেকে ভিপিতে প্রয়োজন পরলে এখন কেবলমাত্র হাফ টন বাড়তি লোডিং করা যাবে। আগে এই ধরনের কোন নিয়ম না থাকার কারণে একজন দেখিয়ে বাড়তি ওজন তোলার রেওয়াজ ছিল। বর্তমানে নতুন নিয়মে ওজন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ওজন করে নির্দিষ্ট পরিমাণ সামগ্রী সরবরাহ করার পরিপ্রেক্ষিতে যেমন বহু ব্যবসায়ীরা ভিপি বুক করার সুযোগ পাবেন, ঠিক তেমনই আবার ওজনের ক্ষেত্রে রেলের ভারসাম্য বজায় থাকবে। ফলে কমবে দুর্ঘটনার প্রবণতা।
এছাড়াও ভিপি বুকিং করার জন্য নূন্যতম ২৩ টন ওজন হতে হবে। তবে কোন ব্যবসায়ী আধিকারিকের অনুমতি নিয়ে ১৮ টনের ভিপিও বুকিং করতে পারবেন। করোনাকালে পণ্য পরিবহনে দারুন সফলতা পেয়েছিল ভারতীয় রেল। কারণ সেই সময় সড়কপথে নানান সুবিধা থাকায় রেলপথের চাহিদা বেড়েছিল।