নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে এখন সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মূলত গরমের কারণে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার পাশাপাশি বাড়ানোর ফলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। আর এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন।
রাজ্যে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে দীঘা, দার্জিলিং অন্যতম হলেও কম যায়না পুরুলিয়া। যে সকল পর্যটকরা গ্রীষ্মকালে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের অধিকাংশরাই ছুটে যাচ্ছেন দার্জিলিং। দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি এখন এমন যে তিল ধরার জায়গা নেই। এমন পরিস্থিতিতে আবার অনেকেই রয়েছেন যারা গরমকে সহ্য করেই পুরুলিয়া পৌঁছে যাচ্ছেন। আর এই যে সকল পর্যটকরা পুরুলিয়া (Purulia Tour) ছুটে যাচ্ছেন তাদের জন্য এবার একটি সুখবর দিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)।
পুরুলিয়ায় যে সকল পর্যটকরা আসেন তাদের সবচেয়ে বড় অংশ হলেন কলকাতার বাসিন্দারা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা পুরুলিয়া এলেও কলকাতার বাসিন্দাদের সংখ্যার কাছে তারা একেবারেই নগণ্য। কলকাতা থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আবার সবচেয়ে যে ট্রেনটি জনপ্রিয় তা হল চক্রধরপুর এক্সপ্রেস (chakradharpur express)। এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে রাত ১২:০৫ নাগাদ পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেনটিতে জেনারেল কামরা থেকে শুরু করে এসি, নন এসি সব ধরনের পরিষেবা রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Talberiya Dam: পুরুলিয়া গিয়েও অনেকে ভুলে যান এই একটি জায়গা, যেখানে দেখা মেলে পাহাড়, শালবন
হাওড়া থেকে পুরুলিয়া চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে এসি, নন এসির পরিষেবা থাকলেও এতদিন পর্যন্ত এই ট্রেনে কোন ফার্স্ট ক্লাস কামরা (First Class Coach Purulia) ছিল না। তবে এবার প্রথমবারের জন্য এই ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাস কোচ পরিসেবা শুরু করা হলো। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাস কোচ পরিষেবা শুরু হওয়ার কারণে যাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দিত। কেননা এবার এই কামরার ফলে অনেক আরাম করেই যাত্রীরা পৌঁছে যেতে পারবেন পুরুলিয়া।
১৮০১১ চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন রাত ১২:০৫ মিনিটে হাওড়া রেল স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং সেটি পুরুলিয়া পৌঁছায় সকাল ৬:৩০ মিনিটে। এছাড়াও এখন হাওড়া থেকে ২০৮৯৭ হাওড়া রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েও আরাম করে পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে পুরুলিয়া। এই ট্রেনটি দুপুর ৩:৪৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে এবং রাত ৮:৩৩ মিনিটে পুরুলিয়া পৌঁছায়।