নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় দু’কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে থাকেন। যে কারণে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার ট্রেন চালিয়ে থাকে।
রেলের তরফ থেকে চালানো এই ১৩ হাজার ট্রেনে চড়ে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যান। তবে যাত্রীদের যেমন সুরক্ষিতভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়া রেলের দায়িত্ব, ঠিক সেই রকমই যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ নিয়েও রেলের অন্যতম বড় দায়িত্ব রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাতে এবার যাত্রীরা আরও আরাম করে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন তার জন্য নয়া পরিকল্পনা নেওয়া হল।
দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে যে সকল কোচ রয়েছে তার মধ্যে সাধারণ শ্রেণীর পাশাপাশি থাকে স্লিপার সহ এসি কোচ (Indian Railways AC Coach)। যদিও প্রত্যেকটি ট্রেনে এসি কোচের সংখ্যা থাকে খুব সীমিত। এবার রেলের তরফ থেকে ট্রেনের এসি কোচ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের তরফ থেকে প্রায় এক হাজার এসি কোচ তৈরি করা হয়েছিল, সেই জায়গায় এবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আড়াই হাজার এসি কোচ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
এসি কোচ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্লিপার কোচ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। রেলের তরফ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে প্রায় দু’হাজার স্লিপার কোচ তৈরি করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এবার লক্ষ্যমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৩০০-র কম। অর্থাৎ রেলের তরফ থেকে স্লিপার কোচ তৈরির তুলনায় এসি কোচ তৈরির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
কথায় আছে, যখন কোন জিনিস বাজারে বেশি পরিমাণে উপলব্ধ হয়ে যায় তখন তার দাম সস্তা হয়। এক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে, যদি এসি কোচের সংখ্যা ট্রেনগুলিতে অনেক বেড়ে যায় তাহলে এসি কোচের টিকিটের দাম সস্তা হলেও হতে পারে। আবার অনেকেই মনে করছেন, যেহেতু সাধারণ কোচে রেলের মুনাফা কম তাই মুনাফা বৃদ্ধির জন্য রেল এসি কোচের ওপর জোর দিচ্ছে। আবার অনেকের মতে, যেহেতু যে কোন কোচের মেয়াদ বলে একটি কথা থাকে, সেই অনুযায়ী হতে পারে এসি কোচগুলি বদলে ফেলে নতুন এসি কোচ দেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।