Train Ticket Insurance: লাগবে না ৫০ পয়সাও, মিলবে ১০ লক্ষ টাকা! ট্রেনের টিকিটে বিরাট সুযোগ দিচ্ছে রেল

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার খুবই সামনে আসছে। জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গের বুকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর লাগাতার বেশ কয়েকটি ট্রেনকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে ফের একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেল। আর বারবার এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্ততপক্ষে ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সময় একটি কাজ করা দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements

মঙ্গলবার ভোররাতে হাওড়া থেকে মুম্বাইগামী হাওড়া মুম্বাই সিএসএমটি ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখনো পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় দুজনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনায় মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায় যদি ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সময় একটি ছোট্ট কাজ সেরে ফেলা হয়।

Advertisements

মূলত রেল এবং আইআরসিটিসির তরফ থেকে ট্রেনের টিকিটে ইনসিওরেন্স (Train Ticket Insurance) দেওয়া হয়ে থাকে। যে ইন্সুরেন্সের জন্য কখনো ৩৫ পয়সা তো আবার কখনো ৪৫ পয়সা খরচ হয়। মোটের উপর খরচ ৫০ পয়সার আশেপাশেই থাকে। আর এই ৫০ পয়সার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজ পেতে পারেন যাত্রীরা। এমন কভারেজ পাওয়ার জন্য কি করতে হবে চলুন দেখে নেওয়া যাক।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Train Accident: ফের দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া থেকে রওনা দেওয়া ট্রেন, মৃত ২, চালু হলো হেল্পলাইন

মূলত যে সকল যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট বুকিং করেন অর্থাৎ আইআরসিটিসি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুকিং করার সময় ইন্সুরেন্সের অপশন পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা পাওয়া যায় কেবলমাত্র কনফার্ম অথবা আরএসি টিকিটের ক্ষেত্রে। ওয়েটিং লিস্টে থাকা কোন টিকিটে এমন সুবিধা পাওয়া যায় না। আবার টিকিট কাউন্টার থেকে যারা টিকিট বুকিং করে থাকেন তারা এই সুবিধা পান না। একইভাবে সমস্ত রুটের সমস্ত ট্রেনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা নেই।

অনলাইনে টিকিট বুকিং করার পর রেলের এই ইন্স্যুরেন্সের সুবিধা নিলে দুর্ঘটনায় যদি কোন যাত্রীর প্রাণ হারিয়ে যায় অথবা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যান তাহলে তার পরিবার অথবা তাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আহত যাত্রীকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রেন দুর্ঘটনার মতো পরিস্থিতির পর এই বীমার সুবিধার নিতে চার মাসের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। যাত্রীর মৃত্যু হলে পরিবারের কোনো সদস্যকে আবেদন জানাতে হয়, যাত্রী আহত অথবা স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে তাকে আবেদন জানাতে হয়।

Advertisements