আমুল বদল আসতে চলেছে হাওড়া স্টেশনে, ২৬ কোচের ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেড়শ কোটির দেশে প্রতিদিন ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করেন। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই যাতায়াতের দিকে নজর রেখে ভারতীয় রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। এই লাইফ লাইন আরও উন্নত থেকে উন্নততর করে তোলার জন্য সদা সচেষ্ট ভারতীয় রেল।

Advertisements

এরই মধ্যে ভারতীয় রেল বোর্ড দেশের ৪০টি রেল স্টেশনকে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই ৪০টি রেল স্টেশনের মধ্যে রয়েছে হাওড়া রেল স্টেশন। রেল বোর্ডের এই পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরোপুরি ভোল বদলে যাবে হাওড়া রেল স্টেশনের।

Advertisements

দিন দিন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি যেভাবে ট্রেনের ওপর চাপ বাড়ছে তাতে রেল বোর্ডের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ টি কোচ নিয়ে ট্রেন চালানোর। সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনের এই এত সংখ্যক কোচ রাখা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে বেশকিছু রেলস্টেশন রয়েছে যেগুলিতে এতগুলি কোচ নিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সেই সকল রেলস্টেশনের মধ্যে হাওড়া একটি অন্যতম।

Advertisements

হাওড়া রেল স্টেশনে প্লাটফর্ম সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বামুনগছি কারশেড থেকে স্টেশনে ট্রেন ঢুকতে হলে দুটি ওভারব্রিজের নীচ দিয়ে ট্রেন আসে। একটি বামুনগছি ব্রিজ এবং অন্যটি চাঁদমারী ব্রিজ। পুরানো আমলের এই ব্রিজ দুটি ভেঙে ফেলে নতুন ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চাঁদমারী ব্রিজ তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলে স্টিয়াড ফরম্যাটে।

হাওড়া ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ জৈন জানিয়েছেন, চার লেনের এই নতুন ব্রিজটি তৈরি করতে ভারতীয় রেলের খরচ হচ্ছে ১৮০ কোটি টাকা। এই ব্রিজ তৈরি হওয়ার কাজ হয়ে গেলে চওড়া এবং উচ্চতা সব দিক দিয়েই অনেক জায়গা পাওয়া যাবে। এরপর আর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকবে না। ২০২৩ সালের মধ্যে এই সকল অনেক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে এবং তারপর দ্রুত হাওড়া স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ হয়ে যাবে। হাওড়া স্টেশনের পর আধুনিকীকরণের কাজের ক্ষেত্রে রয়েছে ব্যান্ডেল।

Advertisements