নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের নাগরিকদের কাছে যাতায়াতের জন্য অন্যতম মাধ্যম হল রেল পরিষেবা। মূলত ট্রেনে চেপে স্বল্প খরচে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই বিপুল চাহিদা রয়েছে এই রেল পরিষেবার (indian railway)। রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে ট্রেনের মধ্যে বাতানুকূল (AC), সাধারণ সহ বিভিন্ন ধরনের কামরা থেকে থাকে।
অর্থ খরচ করতে সক্ষম এমন নাগরিকরা দূরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই এই সকল বাতানুকূল কামরা বেছে নেন। কিন্তু ভারতের মতো দেশে, যেখানে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বাস সবচেয়ে বেশি, তাদের পক্ষে সমপরিমাণ অর্থ খরচ করে বাতানুকূল কামরায় চড়া সম্ভব হয় না। ফলে তাদের সাধারণ কামরাতেই প্যাচপেচে গরম সহ্য করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয়। এবার এই সকল যাত্রীদের জন্য সুখবর পাওয়া গেল।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এবার দূরপাল্লার প্রতিটি ট্রেনের কামরা বাতানুকূল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। যদিও এই বিষয়ে রেলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ঘোষণা করা হয়নি, তবে সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে, এই সকল এসি কামরা যাত্রীদের যাত্রার জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না। সাধারণ ভাড়ার তুলনায় সামান্য বেশি ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রেলের এই পরিকল্পনায় যেসকল ট্রেনের কামরাগুলি বাতানুকূল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলি সংরক্ষিত কামরা হবে। এক একটি কামড়ায় ১০০ থেকে ২০০ জন বসার ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি এই সকল কামরাগুলিতে স্বয়ংক্রিয় দরজা থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই সকল কামরা তৈরি করার কাজ পঞ্জাবের কপুরথালায় শুরু হয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, করোনাকালে লকডাউন পরবর্তী সময়ে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হলে ট্রেনের নামের পাশে স্পেশাল তকমা বসানো হয়। সেই তকমা বসানোর সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বৃদ্ধি পায়। তবে সম্প্রতি এই সকল তকমা সরিয়ে দিয়ে আগের মত ভাড়াতেই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দূরপাল্লার ট্রেনে নতুন যে এসি কোচ করা হচ্ছে সেগুলি ছাড়াও অসংরক্ষিত সাধারণ কোচ থাকবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।