নিজস্ব প্রতিবেদন : গত এপ্রিল মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপমাত্রার পারদ চরম জায়গায় পৌঁছাতে শুরু করেছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেক প্রাণীর জীবন এখন ওষ্ঠাগত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই বেশ কিছু ঘটনা নজরে আসছে যেগুলি অনভিপ্রেত। যেমন জেনারেল টিকিটে এসি কোচে ভ্রমণ।
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর ভর করে প্রতিদিন প্রায় দেশের ২ কোটি মানুষ কোন না কোন কাজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা এসি টিকিট বুকিং করেন আবার অনেকেই রয়েছেন যারা স্লিপার সহ জেনারেল কামরার টিকিট বুকিং করেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কিছু মানুষ জেনারেল কামরার টিকিট বুকিং করে গরম থেকে বাঁচতে এসি কামরায় ভিড় জমাচ্ছেন।
ওই সকল যাত্রীরা তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে এসি কামরায় ভিড় জমাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু আবার যারা ন্যায্য টাকা খরচ করে এসি কামরার টিকিট কেটে ট্রেনে চড়েছেন তাদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডিভিশন থেকে অভিযোগ আসছে রেলের কাছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই রেলের তরফ থেকেও নড়েচড়ে বসা হয়েছে এবং ওই সকল যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত এই ধরনের ঘটনায় রেলের তরফ থেকে রেলের নিয়ম (Indian Railways Rules) অনুযায়ী তিনটি মেগা শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে।
রেল আইন ১৯৮৯-র ১৩৮ (বি) ধারা অনুযায়ী বিনা টিকিটে অথবা নিজের কাছে থাকা টিকিটের তুলনায় উচ্চশ্রেণীতে যাতায়াত অবৈধ। এই ধরনের ঘটনায় প্রথমেই ওই যাত্রী থেকে ট্রেনের টিকিটের পুরো দাম এবং জরিমানা নেওয়া হয়। প্রথম শাস্তি হিসেবে রেল যাত্রী থেকে এমনটাই আদায় করে থাকে।
এখন কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকার করেন অথবা টাকা দিতে রাজি না হন তাহলে টিটিই ওই যাত্রীকে তৎক্ষণাৎ ট্রেন থেকে নামিয়ে দিতে পারেন। রেলের আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় শাস্তি হিসেবে এমনটা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়। তবে যদি ওই যাত্রী একাকী কোন মহিলা অথবা শিশু হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করা যায় না। তাকে এমন শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। মূলত সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রেল এমনটা করে থাকে।
বিনা টিকিটে অথবা নিজের কাছে থাকা টিকিটের তুলনায় উচ্চ শ্রেণীতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে তৃতীয় এবং সবচেয়ে কঠোর শাস্তি হিসেবে যাত্রীদের যা দেওয়া হয় তা হল ১০ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত জেল। এই শাস্তি অত্যন্ত কঠোর হওয়ার কারণে খুব কম ক্ষেত্রেই এমনটা করে থাকেন টিটিইরা।