নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১০ বছরে অর্থাৎ কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বদল ঘটতে শুরু করেছে। ভারত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ধীরে ধীরে পরিষেবা মূলক অর্থনীতি থেকে পা রেখেছে উৎপাদন মূলক অর্থনীতিতে। আর এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। কেননা ভারত এখন ধীরে ধীরে নিজেদেরই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে রেল পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে, আর এবার কেবল দেশের রেল পরিষেবার উন্নয়ন নয়, পাশাপাশি বিদেশেও কোচ পাঠানোর মত চুক্তি সেরে ফেলল মোদি সরকার। এর ফলে ডিল হল হাজার হাজার কোটি টাকার।
ভারতের রেল পরিষেবার মতই দিন দিন নিজেদের পরিষেবা উন্নত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে (Bangladesh Railway)। তাদের দেশের রেলের উন্নতির জন্য তারা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিচ্ছে। ঠিক সেই রকমই একটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার চলাকালীন ভারত বাংলাদেশের থেকে রেল কোচ সরবরাহ করার বরাত পেয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী মোট ২০০টি অত্যাধুনিক কোচ (Train Coach for Bangladesh) সরবরাহ করা হবে ভারত থেকে। যে কোচগুলি বাংলাদেশের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ব্যবহার করা হবে। ভারতীয় রেলের সহযোগী সংস্থা রাইটস (RITES) যাত্রীবাহী এই কোচগুলি বাংলাদেশে পাঠাবে। ২০০টি অত্যাধুনিক রেল কোচ সরবরাহ করার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের উপস্থিতিতে এই চুক্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Homemade Thar: গাড়ি কেনার টাকা নেই! শখ পূরণে নিজেই বানিয়ে নিলেন মিনি থার
ভারত থেকে বাংলাদেশে পাঠানো অত্যাধুনিক রেল কোচগুলি তৈরি করা হবে কাপুরথালার রেল কোচ ফ্যাক্টরিতে। ২০০টি অত্যাধুনিক রেল কোচের মধ্যে ১০৪ টি কোচ তৈরি করা হবে এসি এবং ৯৬ টি কোচ তৈরি করা হবে নন এসি। এই সকল কোচগুলি স্টেইনলেস স্টিলের। কোচগুলি হবে দ্রুত গতি সম্পন্ন অর্থাৎ ট্রেনের গতি বাড়াতে এই কোচগুলি যথেষ্ট সাহায্য করবে। এছাড়াও এই সকল কোচে থাকছে স্বয়ংক্রিয় এয়ার ব্রেক।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে কোচগুলি সরবরাহ করবে ভারত। ৩৬ মাসের মধ্যে কোচগুলি সরবরাহ করার পর আবার বাংলাদেশকে ওই কোচগুলির জন্য ২৪ মাসের ওয়ারেন্টি দেওয়া হবে। কোচ সরবরাহ করার পাশাপাশি ভারতের ওই সংস্থার তরফ থেকে স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ করা হবে এবং ট্রেনিং দেওয়া হবে। ভারতের সঙ্গে কোচ সরবরাহ নিয়ে যে টাকার চুক্তি হয়েছে তা ভারতীয় মুদ্রায় ৯১৫ কোটি টাকা, আর বাংলাদেশী মুদ্রায় তা ১২০৫ কোটি টাকা।