নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) হল ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন। প্রতিদিন দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ গণপরিবহনের এই লাইফ লাইনের উপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। স্বাচ্ছন্দ্য এবং কম খরচের কথা মাথায় রেখেই রেল পরিষেবার উপর দিন দিন বেড়ে চলেছে নির্ভরশীলতা। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকেও দেশের কোনায় কোনায় এই রেল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গের হাই ভোল্টেজ একটি এলাকায় স্বাধীনতার ৭৬ বছরেও চালু হল না রেল পরিষেবা। অথচ যে জায়গাটির কথা বলা হচ্ছে সেই জায়গাটি প্রতিনিয়ত রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রয়েছে। আবার এই জায়গায় এখনো পর্যন্ত ট্রেনের চাকা না গড়ালেও দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে স্টেশন এবং প্ল্যাটফর্ম।
স্টেশন এবং প্ল্যাটফর্ম থাকা সত্ত্বেও ট্রেনের চাকা না গড়ানোর জন্য আলোচনায় উঠে আসা এলাকা হলো নন্দীগ্রাম (Nandigram)। এখানে একটি স্টেশন এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হলেও রেললাইন পাতার কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি। ২০১০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় এই রেল প্রকল্পের শিল্যান্যাস করেছিলেন। লাইন পাতার আগেই তৈরি হয়েছিল স্টেশন এবং প্ল্যাটফর্ম। তবে ১৩ বছর পার হয়ে গেলেও সেই রেলপথ এখনো চালু হয়নি আর ট্রেনের চাকা গড়ায় নি।
নন্দীগ্রামের এই রেলপথ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে অনেক আশা ছিল। তবে দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সেই আশা পূরণ না হওয়ায় তার রীতিমতো হতাশায় পরিণত হয়েছে। যদিও সম্প্রতি নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে এই রেল পথ নিয়ে। জানা যাচ্ছে এই রেলপথ তৈরি করার কাজ নতুন করে শুরু করতে চায় রেল মন্ত্রক।
নতুন করে এই রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভের পর তিনি এই রেলপথের কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য রেলমন্ত্রকের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন। সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও এই রেলপথ চালুর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানান। তবে এই রেলপথের কাজ নতুন করে শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাসক এবং বিরোধী দুই দলের মধ্যেই তরজা শুরু হয়েছে। তবে সে যাই হোক নতুন করে এই রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হওয়ার খবর ফের একবার আসার আলো দেখাচ্ছে নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের।