নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেছেন, দেশের প্রতিটি মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন যেগুলি করোনাকালে স্পেশাল তকমা দিয়ে চালানো হচ্ছিল, সেগুলি আবার আগের মত নামে খুব তাড়াতাড়ি প্রত্যাবর্তন করবে। রেলের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনের টিকিটের ভাড়া অনেকটাই কমতে চলেছে।
ট্রেনের এই পুরাতন ছন্দে ফেরার খবর স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে এই পুরাতন ছন্দে ফিরতে টানা সাতদিন দিনে ৬ ঘন্টা করে প্যাসেঞ্জারের রিজার্ভেশন সিস্টেম বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ এই সময় কোনরকম টিকিট বুক করা অথবা বাতিল করার কাজ করা যাবে না। ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নির্দিষ্ট সময়ে পিআরএস প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
রেলের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে পরদিন ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পিআরএস পরিষেবা পাবেননা যাত্রীরা। অর্থাৎ এই সাতদিন নির্দিষ্ট এই ৬ ঘন্টা যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট রিজার্ভেশন অথবা বাতিল করতে পারবেন না। বাকি অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
যাত্রী পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করতে এবং করোনাকালের পূর্বের অবস্থায় ট্রেন পরিষেবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই নির্দিষ্ট সময় ট্রেনের টিকিট রিজার্ভেশন এবং বাতিল প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে।
যদিও রেলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোন দিন ঘোষণা করা হয়নি পুরাতন ছন্দে ফেরার দিনক্ষণের বিষয়ে। এমনকি রেলমন্ত্রীও কোন দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর আসছে তাতে মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি রেল আবার আগের ছন্দে ফিরতে চলেছেন। টিকিটের ভাড়া কমতে চলছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।