নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিনই ভারতের মতো দেশে প্রায় দু’কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের মধ্যে আবার বড় সংখ্যার যাত্রীরা দূরপাল্লার ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকেন। যাদের ট্রেনে সফর করার সময় প্রয়োজন হয় বেডরোল অর্থাৎ বিছানা, চাদর ইত্যাদি। ট্রেনের টিকিটের ক্লাস অনুযায়ী যাত্রীদের সেই সকল বেডরোল (Railway Bedroll) সরবরাহ করে থাকে রেল।
অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের তরফ থেকে অভিযোগ আসে এই সকল বেডরোলের অবস্থা নিয়ে। বহুক্ষেত্রেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি অন্যান্য অভিযোগও তুলতে দেখা যায়। তবে এবার এই সকল অভিযোগের দিন শেষ করে দিতে রেলের তরফ থেকে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হল। আর সেই নতুন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে কোন অভিযোগ থাকবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।
আসলে ট্রেনে ক্রমবর্ধমান লিনেনের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে গুয়াহাটি, কাটিহার ও আলিপুরদুয়ারে অত্যাধুনিক লন্ড্রি কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অন্তর্গত এই তিন জায়গায় এমন লন্ড্রি কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে মূলত যাত্রীদের উৎকৃষ্টমানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য। এই সকল লন্ড্রি কেয়ার সেন্টার থেকে প্রতিদিন যথাক্রমে ১৬০০০, ২০০০ এবং ২১০০ বেডরোল তৈরি করা সম্ভব।
এই বিপুল পরিমাণ বেডরোল ওই তিনটি লন্ড্রি কেয়ার সেন্টার থেকে তৈরি করার ফলে অমরনাথ এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, অবধ অসম এক্সপ্রেস, নর্থইস্ট এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র মেল, সিকিম মহানন্দা এক্সপ্রেস, আম্রপালি এক্সপ্রেস, চম্পারন হামসফর এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে যে পরিমাণ লিনেনের চাহিদা বাড়ছে তা পূরণ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। আর এর ফলে যাত্রীরা উন্নতমানের পরিষেবা পাবেন এবং যাত্রীদের যে সকল অভিযোগ রয়েছে সেগুলিও দূর হয়ে যাবে।
এই সকল যে লন্ড্রি কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে সেগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। এগুলিতে টানেল সিস্টেম রয়েছে এবং তার মধ্যে জল, বাষ্প এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করার মত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথমে নোংরাযুক্ত লিনেন এখানে আনা হয় এবং সেগুলি ওজন করে তারপর পরিষ্কার করার জন্য টানেলে পাঠানো হয়। একেবারে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে এগুলি পরিষ্কার করার কাজ করা হয়। তারপর সেগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গেলে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনে।