নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ ট্রেনের (Train) উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। খরচ কম এবং বেশি নিরাপদ হওয়ায় এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে ট্রেন সফর বেছে নিতে দেখা যায়। রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় আট হাজারের কাছাকাছি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১২ হাজারের কাছাকাছি যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়া হয়।
এর পাশাপাশি যাত্রীদের আরও বেশি নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ দেওয়ার জন্য রেলের তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ট্রেন চালু করা হচ্ছে, সাজিয়ে তোলা হচ্ছে রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে। রেলের এমন উন্নয়নের ফসল হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) এর মত ট্রেন। তবে বন্দে ভারতকে পিছনে ফেলে এবার আসছে Push-Pull ট্রেন। কম খরচ এবং আরও বেশি স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের জন্য নতুন এই ট্রেনের বন্দোবস্ত করছে রেল।
রেলের তরফ থেকে আপাতত এই ট্রেনকে Push-Pull ট্রেন নামেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী দিনে এর নাম পরিবর্তন হতেও পারে। নতুন এই যে ট্রেনের কথা বলা হচ্ছে তার গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার থাকবে। এই ট্রেনে থাকবে স্লিপার ক্লাস এবং সেকেন্ড সিটিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়াও আরও যে সকল একাধিক সুবিধা যোগ করা হবে তার মধ্যে রয়েছে উন্নতমানের লাইট, উন্নতমানের শৌচালয়, পর্যাপ্ত সংখ্যক চার্জিংয়ের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
রেল সূত্রে নতুন এই ট্রেন সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে আটটি সেকেন্ড সিটিং কোচ থাকবে। এই প্রতিটি কামরা হবে অসংরক্ষিত। প্রতিটি কামরায় ১০০ জন করে যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ট্রেন মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হচ্ছে। ভাড়া অনেক কম হবে এবং সংরক্ষিত কামরাতেও ভাড়া কম হবে।
এই ট্রেনের নাম পুশ-পুল কেন? রেলের পুশ পুল মোড হল ট্রেনের দুই প্রান্তে ইঞ্জিন থাকা। এক্ষেত্রে ট্রেনে সফর করার জন্য সময় যেমন অনেক কম লাগে ঠিক সেই রকমই আবার যাত্রীদের ঝাঁকুনি অনেক কম অনুভূত হয়। নতুন এই যে ট্রেন চালু করার কথা বলা হচ্ছে তাতে থাকবে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং এলএইচবি কোচ। নতুন এই ট্রেন উদ্বোধনের দিন রেলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত ঘোষণা করা না হলেও অক্টোবর মাসের মধ্যেই সূচনা হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।