নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণমাধ্যমের অন্যতম মাধ্যম হলো রেল পরিষেবা। তবে এই রেল পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পড়ে গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর। করোনা পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পথে হাঁটলেও বহু ক্ষেত্রে নিয়মের বদল ঘটানো হয়।
এই সকল নিয়মের পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম হলো ট্রেনের নামে স্পেশাল তকমা জুড়ে দেওয়া। স্পেশাল তকমা জুড়ে দেওয়ার কারণেই বৃদ্ধি পায় ভাড়া। পাশাপাশি অনেক ট্রেনের ক্ষেত্রেই নিয়ম করা হয় রিজার্ভেশন ছাড়া যাতায়াত করা যাবে না। তবে সম্প্রতি মাসখানেক আগেই ভারতীয় রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এইসকল স্পেশাল তকমা তুলে দিয়ে রেলের ভাড়া আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি যে সকল নিয়ম জারি করা হয়েছিল তাও আস্তে আস্তে পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে বেশ কিছু স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন, মেল ট্রেন, সুপারফাস্ট ট্রেনের সংরক্ষিত কোচকে এবার অসংরক্ষিত কোচ হিসাবে চালাবে ভারতীয় রেল। এমন ১৩টি ট্রেনের তালিকা সামনে এসেছে।
যেসকল স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন, মেল ট্রেন, সুপারফাস্ট ট্রেনের সংরক্ষিত কোচকে অসংরক্ষিত কোচ হিসাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল ১২১৯৬ আজমের-আগ্রা ফোর্ট, ২২৪২২ যোধপুর-দিল্লি, ২২৪৬৪ বিকানের-দিল্লি, ১৪৮১১ সিকর-দিল্লি, ১২৪৬৪ যোধপুর-দিল্লি, ১১৪৮১৯ ভগতের কোঠি-সবরমতি, ২২৪৭১ বিকানের-দিল্লি, ১৪৮০৩ ভগতের কোঠি-সবরমতি, ১৪৮১৩ যোধপুর-ভোপাল।
এছাড়াও রয়েছে ২২৯৮৭ ভগতের আজমের-আগ্রা ফোর্ট, ২২৪৮১ যোধপুর-দিল্লি, ২০৪৭৪ উদয়পুর সিটি-দিল্লি, ১২৪৫৮ বিকানের-দিল্লি। এই সকল ট্রেনগুলির বেশকিছু কোচে যাত্রীরা রিজার্ভেশন ছাড়াই চড়তে পারবেন।