নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ প্রতিদিন রেল পরিষেবার উপর ভর করে যাতায়াত করে থাকেন। এই সকল সমস্ত যাত্রীদের রেলের (Indian Railways) নিয়ম অনুসারে বৈধ ট্রেনের টিকিট (Train Tickets) নিয়ে ট্রেনে চড়তে হয়। বৈধ টিকিট না থাকলে যাত্রীদের জরিমানা থেকে অন্যান্য শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়। আবার টিকিট বুকিং করার জন্য যাত্রীদের হয় স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যেতে হয় অথবা অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে হয়।
ট্রেনে টিকিট বুকিংয়ের জন্য স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যাওয়া অথবা অনলাইনে টিকিট বুকিং করা এসব আমরা প্রত্যেকেই জানি। কিন্তু এসবের বাইরে এবার রেলের তরফ থেকে এমন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার দরকার নেই অথবা অনলাইন থেকে টিকিট বুকিং করার দরকার নেই। এবার যাত্রীদের কাছেই পৌঁছে যাবে খোদ ‘টিকিট কাউন্টার’।
অনেকেই ভাবছেন তাই আবার হয় নাকি, অনেকেই আবার এসব নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। সত্যি বলতে অনেকের কাছেই এই বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এমনটাই এখন ঘটছে পশ্চিমবঙ্গের দুটি রেল স্টেশনে। দীর্ঘ লম্বা লাইন, ভিড়ভাট্টার ঝামেলা থেকে যাত্রীদের রক্ষা করার জন্য এবার একজন করে কমার্শিয়াল ক্লার্ক সরাসরি টিকিট বুকিং সিস্টেম নিয়ে যাত্রীদের সামনে হাজির হচ্ছেন।
টিকিট বুকিং সিস্টেম নিয়ে যাত্রীদের কাছে হাজির হওয়া ওই কমার্শিয়াল ক্লার্ক নগদ অথবা অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে যাত্রীদের হাতে তাদের গন্তব্যের টিকিট তুলে দিচ্ছেন। রেলের এমন ব্যবস্থার ফলে একদিকে যেমন হাজার হাজার যাত্রীরা উপকৃত হচ্ছেন, ঠিক সেই রকমই আবার রেলেরও বাড়তি রোজগার হচ্ছে। কেননা অনেক যাত্রী রয়েছেন যাদের টিকিট বুকিং করার ইচ্ছে থাকলেও লম্বা লাইন, ভিড়ভাট্টা ইত্যাদির কারণে টিকিট না পেয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়েন। এই সকল যাত্রীদের থেকে এবার অনায়াসেই টিকিটের দাম আদায় হচ্ছে রেলের।
এখন প্রশ্ন হল এমন সুব্যবস্থা কোন কোন রেলস্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে? হ্যান্ডহেল্ড টিকিট ডিভাইস এবং ট্যাব নিয়ে এইভাবে কমার্শিয়াল ক্লার্কের আপাতত দেখা মিলছে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে নামখানা রেলস্টেশন এবং কাকদ্বীপ রেল স্টেশনে। রেলের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, গঙ্গাসাগর মেলায় এই প্রথম এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। আগামী দিনে পুজো পার্বণ অথবা অন্য কোন উৎসবের দিনগুলিতেও যে সকল স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা থাকবে সেই সকল স্টেশনেও এই পরিষেবা পৌঁছে দেবে রেল।