এবার রেল ব্যবহার করবে AI! স্বস্তির যাত্রা হবে যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন দেশের প্রায় এক কোটির কাছাকাছি মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। বিপুলসংখ্যক এই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রায় ১২ হাজার যাত্রীবাহী ট্রেন চালায়। এই সকল ট্রেনগুলিকে যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রায় ৮ হাজার রেল স্টেশন নিয়ে থামানো হয়। এত বড় একটি নেটওয়ার্ক সঠিক ভাবে চালানো সত্যিই যেকোনো দেশের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ।

ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হলেও এদেশে যাত্রী সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনের সংখ্যা কম হওয়ায় রীতিমতো সারা বছরই ট্রেনের টিকিট নিয়ে চলে টানাপোড়েন। এছাড়াও ভারতের যেকোনো ট্রেনে এত সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেন যে কোনরকম কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই বহু মানুষের প্রাণ যায় বা আহত হন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রেলের তরফ থেকে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের সুরক্ষা প্রদান করা। ইতিমধ্যেই নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে এই ধরনের AI ব্যবহার পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করে দিয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা হয়তো এর ব্যবহার টের পাবেন না, তবে এর ব্যবহারে সাধারণ যাত্রীরা অনেক সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

রেলের তরফ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে যে AI ব্যবহার করা হচ্ছে তা মূলত লোকো পাইলটদের (Loco Pilot) জন্য। অনেক সময় দূরপাল্লা সহ বিভিন্ন ট্রেনে লোকো পাইলটদের ঘুম পায়। এক্ষেত্রে যদি সত্যিই লোকো পাইলট ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যদি দেখা যায় লোকো পাইলটের ঢুলুনি আসছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে AI বুঝতে পারবে এবং ওই লোকো পাইলটকে সজাগ করে তুলবে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, নতুন এই ব্যবস্থার ফলে যখনই ট্রেনের লোকো পাইলট ঝিমোতে শুরু করবেন তখনই AI তা বুঝতে পারবে এবং অ্যালার্ম বাজিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে ট্রেনের এমার্জেন্সি ব্রেক চেপে ধরে ট্রেনকে থামিয়ে দেবে। এই ধরনের প্রযুক্তি ট্রেনের দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে দেবে বলেই আশা করা হচ্ছে।