নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) প্রথম দেশীয় প্রযুক্তির সেমি হাই স্পিড ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। দেশে এই মুহূর্তে যতগুলি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেশের যাত্রীদের পরিষেবা দিচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলা থেকে পরিষেবা দিচ্ছে ৬টি। এই সকল ট্রেনগুলির মধ্যে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ছিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিভিন্ন সময় শিরোনামে এসেছে। কখনো বিপুল পরিমাণ যাত্রী বহন করে রেলকে বিপুল টাকা তুলে দেওয়ার জন্য শিরোনামে এসেছে, আবার কখনো শিরোনামে এসেছে এই ট্রেনের কাঁচ ভাঙার কারণে। ঠিক সেই রকমই আবার এই ট্রেনটি শিরোনামে এসেছে কামরার ভিতর এসি খারাপ হয়ে যাওয়ায় জল পড়ার কারণে। তবে এসবের মধ্যে এবার এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি নতুন অধ্যায় লিখল।
মূলত রাজ্যে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমালের ভ্রুকুটি। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই ঘূর্ণিঝড় রবিবার বাংলাদেশ উপকূলে কোথাও আছড়ে পড়লেও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দুর্যোগ দেখা যাবে। আর সেই দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে আগাম রেলের তরফ থেকে বিভিন্ন রুটের লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল, দূরপাল্লার ট্রেনেরও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে এই সকল ভ্রূকুটির মাঝেও পরিষেবা দিতে এতোটুকু দ্বিধাবোধ করেনি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের দুর্যোগের আতঙ্কে যখন বিভিন্ন ট্রেন বাতিল করা থেকে শুরু করে যাত্রা পথ নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই সময়ও কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনকে যথাসময়ে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার যখন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া বৃষ্টির মতো দুর্যোগ চলছে, তখনও নিজের ছন্দে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ছুটে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
সোমবার নির্ধারিত সময়ে সকাল ৫:৫৫ মিনিটে ট্রেনটি হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে পরবর্তী স্টেশন বোলপুরে পৌঁছাতে ট্রেনটি ১৬ মিনিট লেট করে। আবার মালদা টাউন রেলস্টেশন নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছে যায়। পরবর্তী স্টেশন বারসই পৌঁছাতে ৮ মিনিট লেট করে এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পৌঁছাতে ৭ মিনিট লেট করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলাকালীনও যেভাবে সোমবার বন্ধে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিষেবা দিয়েছে তা রীতিমত প্রশংসনীয়। অন্যদিকে এই ঝড়ের মাঝেও পূর্ব রেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়াও শতাব্দি এবং ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মতো ট্রেন নির্ধারিত সময়েই চালিয়েছে।