নিজস্ব প্রতিবেদন : কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হোক অথবা চিকিৎসা অথবা অন্য কোন কাজে অধিকাংশ ভারতীয়দেরই ট্রেনের ওপর ভর করে যাতায়াত করতে দেখা যায়। দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের এইভাবে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর ভরসা বেড়ে যাওয়ার কারণে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে টিকিট নিয়ে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভ্রমণের জন্য টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
দেশের এমন কিছু রুট রয়েছে যেগুলিতে তিন মাস আগে থেকে টিকিট কাটলেও সেই টিকিট নিশ্চিত হবে কিনা সেই গ্যারান্টি দেওয়া মুশকিল। আবার হাতে সময় কম রেখে টিকিট বুকিং করলে ওয়েটিং লিস্টের তালিকা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে আরএসি হবে কিনা তারও কোন গ্যারান্টি নেই। এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় যাত্রীদের।
তবে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনায় অবসান ঘটানোর জন্য বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আট হাজারি প্ল্যান আনা হচ্ছে। আর সেই আট হাজারি প্ল্যানের হাত ধরেই মিটে যাবে টিকিট নিয়ে টানাটানি, টিকিট নিয়ে অন্যান্য সব সমস্যা। রেলের তরফ থেকে এমন সুখবর খুব তাড়াতাড়ি দেশবাসীকে দেবে বলেই জানা যাচ্ছে সুত্র মারফৎ।
রেলের আট হাজারি প্ল্যানের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কেনা হবে নতুন ৮ হাজার ট্রেন সেট (Indian Railways Trains Plan)। এক একটি ট্রেন সেট হল ৬, ৯, ১২, ১৫ কামরার। রেলের এই পরিকল্পনা আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। আর এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে পুরাতন বেশকিছু ট্রেনের রিপ্লেস করা হবে, বাকি নতুন ট্রেন বিভিন্ন রুটে চালানো হবে। রেলের তরফ থেকে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ভোট পর্ব মিটলেই এই নতুন প্রকল্প শুরু করার জন্য রেলের তরফ থেকে টেন্ডার ডাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ।
কিভাবে ভারতীয় রেল ওয়েটিং লিস্টের দিন শেষ করে দেবে? ওয়েটিং লিস্টের দিন খুব সহজ হিসাবেই শেষ হয়ে যাবে। এমনিতে ভারতে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি ট্রেন বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে থাকে। পিক সিজনে চাহিদা বেড়ে গেলেও অন্যান্য সময় কিন্তু ওই সকল ট্রেনের মাধ্যমেই মোটামুটি ভাবে যাত্রীদের চাহিদা মত টিকিট দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিক সিজনে যদি রেল ৩০ শতাংশ বাড়তি ট্রেন চালায় তাহলেই ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে। আর সেই মতোই রেল পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে বছরে যেখানে ৭০০ কোটি মানুষকে রেল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে তা বেড়ে হয়ে যাবে এক হাজার কোটি।